আশ্বাসের ফাঁদে আটকে আছে নোবিপ্রবির একমাত্র ক্যাফেটেরিয়া

ক্যাফেটরিয়াটি বন্ধ থাকায় বাড়তি দাম দিয়েই বাইরের টং দোকানগুলোতে খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই তারা দ্রুত এটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন।

সাজিদ খান, নোবিপ্রবি
বন্ধ থাকা ক্যাফেটরিয়া
বন্ধ থাকা ক্যাফেটরিয়া |নয়া দিগন্ত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) একমাত্র কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা আশ্বাস সত্ত্বেও চালু হচ্ছে না এটি। এতে শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

ক্যাফেটরিয়াটি বন্ধ থাকায় বাড়তি দাম দিয়েই বাইরের টং দোকানগুলোতে খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই তারা দ্রুত এটি চালু করার দাবি জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩ এপ্রিল মানোন্নয়নের কথা বলে ক্যাফেটেরিয়াটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয়েছিল, দুই মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়াটি উপযুক্ত করে চালু করা হবে। কিন্তু চার মাস পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এ ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ শামীম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকা কতটা যৌক্তিক? অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালে নোবিপ্রবির ক্যাফেটেরিয়ার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া দায়। গত চার-পাঁচ মাস ধরে এটি সম্পূর্ণ বন্ধ। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যবস্থা করাও প্রশাসনের মৌলিক দায়িত্ব।’

ক্যাফেটেরিয়া খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘আমরা ১১ লাখ টাকার বাজেট টেন্ডার করেছিলাম। প্রথমে একজন আবেদন করলেও তিনি যোগ্য ছিলেন না। গত মাসে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এবার কয়েকজন আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে যে যোগ্য হবেন তাকেই দায়িত্ব দেয়া হবে। সরকারি নিয়মে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে। আশা করি এক মাসের মধ্যে ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে পারবো।’

ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘প্রথম টেন্ডারে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় টেন্ডারে চারজন অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে বাছাই চলছে। ওয়ার্ক অর্ডারের পরই কাজ শুরু হবে। আশা করি ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ক্যাফেটেরিয়াটি চালু হবে।’