বঙ্গোপসাগরে ১০ ট্রলারে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধসহ আহত অর্ধশত জেলে

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ডাকাতি
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারে ডাকাতি |ইন্টারনেট

বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের গভীরে ১০টি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত জেলে গুলিবিদ্ধসহ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরে বড় বাইজদা এলাকায় এ গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে দস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী নয়া দিগন্তকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডাকাতি হওয়া ট্রলারের মধ্যে রয়েছে বরগুনার পাথরঘাটার মো: সগির কোম্পানির মালিকানাধীন এফবি তারেক-২, এফবি তুফান-২, নুর মোহাম্মদের মালিকানাধীন এফবি রাজু ও সেলিম চৌধুরীর মালিকানাধীন এফবি মা।

দুপুর আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অন্য ছয় ট্রলারের নাম জানা যায়নি। তবে ১০টি ট্রলারের প্রায় ১৬০ জেলের মধ্যে অর্ধশত জেলে গুলিবিদ্ধ ও মারধরে আহত হয়েছে। আহত জেলেদের সবার বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

এফবি মা ট্রলারের মাঝি মনির হোসেনের বরাত দিয়ে মালিক মো: সেলিম চৌধুরী বলেন, বুধবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরের বড় বাইজদা এলাকায় মাছ শিকারের সময় হঠাৎ সশস্ত্র হামলা চালায় দস্যু বাহিনী। এ সময় জেলেরা বাধা দিলে দস্যু বাহিনী ট্রলারে উঠে মারধর করে এবং দূর থেকে গুলি ছোড়ে। এতে ১০টি ট্রলারের প্রায় ৫০ জন জেলে আহত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী অপর একাধিক ট্রলারের জেলেরা আমাদের ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দস্যু বাহিনীর নাম পাওয়া জানা যায়নি।

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে সশস্ত্র ট্রলার ডাকাতি হয়েছে। ১০টি ট্রলারের তথ্য পেলেও জেলেরা এখন পর্যন্ত ফিরে আসেনি। জানতে পেরেছি প্রায় ৫০ জন জেলে আহত হয়েছে, তারা মোবাইল ফোনে জানিয়েছে এ ডাকাতির ঘটনা। ডাকাতের খবর শুনে তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশ সুপার এবং কোস্টগার্ডকে অবহিত করেছি।

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন পাথরঘাটা স্টেশনের চিফ পেটি-অফিসার মো: মাইন উদ্দিন খান জানান, ঘটনাস্থল আমাদের এলাকার বাহিরে থাকার কারণে আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে আমাদের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জানিয়েছি। তাছাড়া জেলেদের সাথেও কথা হয়েছে। তাদের মারধর করে মাছ এবং বাজার-সওদা নিয়ে গেছে। জেলেদের তথ্য মতে ধারণা করা হচ্ছে, ডাতাক দল বাশখালী এলাকার দিকের হতে পারে।