‘দেশে ইসলামী আইন চালু হলে কারো অধিকার নিয়ে আর আন্দোলন করতে হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির, সাবেক এমপি ও রাজশাহী-১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর তানোর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী আইন চালু হলে সমাজে বৈষম্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে দূর হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ছাড়া কোনো মানুষই অন্যায় প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে পারে না। এজন্য দরকার একদল সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও আল্লাহভীরু সোনার মানুষ। আর সেই সোনার মানুষ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াত।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে কোনো দুষ্কৃতিকারী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ধর্ষক ও অপরাধী নেই। একইসাথে এ দলে তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগও নেই।’
তিনি আগামী নির্বাচনে তরুণ সমাজসহ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের নির্বাচিত করার উদাত্ত আহ্বান জানান।
তানোর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা আফজাল হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাহবুব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক জামিল রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, তানোর উপজেলা আমির মাওলানা আলমগীর হোসেন, সেক্রেটারি ডি এম আক্কাস আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম, শ্রমিক নেতা আবদুল কাদেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে রাজশাহী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম মুর্তজা বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি মানুষের সেবা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের নেতা অধ্যাপক মুজিবুর রহমান গোদাগাড়ী-তানোরকে উন্নত অঞ্চল হিসাবে গড়তে চান। যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ন্যায়বিচার ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে পারবে।



