চুয়াডাঙ্গা ও দামুড়হুদা সংবাদদাতা
দুই দিন ধরে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। সার্ভার বন্ধ থাকায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শতাধিক মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো সেবা পাননি। এতে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর নষ্ট হয়ে সার্ভার হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আবেদন গ্রহণ ও ডেলিভারি উভয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টেকনিশিয়ানরা আংশিক মেরামত সম্পন্ন করলে সীমিত আকারে পাসপোর্ট ডেলিভারি শুরু হয়, তবে নতুন আবেদন গ্রহণ ও ছবি তোলার কাজ বন্ধই থেকে যায়।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, অফিসের গেটের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন বিভিন্ন উপজেলার মানুষ। কারো হাতে আবেদনপত্র, কারো হাতে পুরোনো রশিদ। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে অনেকে ফিরে যান।
দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা আবেদনকারী স্বাধীন হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। গতকালও এসেছিলাম, আজও কোনো কাজ হলো না।’
জীবননগরের শাকিল মাহমুদ জানান, ‘ভোরে রওনা হয়ে এসে শুনতে হলো সার্ভার বন্ধ, আজ কোনো কাজ হবে না।’
অপেক্ষায় থেকে হতাশ অনেকে অফিস প্রাঙ্গণ ছেড়ে চলে যান। এ সময় কয়েকজন ক্ষুব্ধ সেবাগ্রহীতা দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক এস এম জাকির বলেন, ‘বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে সার্ভারের যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢাকার টেকনিশিয়ানরা মেরামতের কাজ করছেন। আংশিকভাবে ডেলিভারি শুরু হলেও পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম সচল হতে আরো কিছু সময় লাগবে।’
এ ঘটনায় জেলা জুড়ে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। অনেকেই দ্রুত সমাধানের আশায় টেকনিশিয়ানদের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।