খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে উখিয়ায় তৈরি হচ্ছে ৭ ফুট উচ্চতার চেয়ার

নির্মাণশিল্পীরা বলছেন, চেয়ারটির কাঠামো ও নকশা তৈরিতে তারা যেমন মনোযোগ দিয়েছেন, তেমনি প্রতিটি দিকেই ফুটিয়ে তুলছেন শৈল্পিক ভাবনা।

হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া (কক্সবাজার)

Location :

Ukhia
৭ ফুট উচ্চতার চেয়ার
৭ ফুট উচ্চতার চেয়ার |নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গ্রামের একটি আসবাব পত্র তৈরির দোকানে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দেয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি ব্যতিক্রমী বিশাল চেয়ার।

দেশজুড়ে ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠা সেগুন কাঠ দিয়ে নির্মাণাধীন এ চেয়ারের উচ্চতা-৭ ফুট ৩ ইঞ্চি।

দর্শনেই নজরকাড়া এ চেয়ারে ফুটে উঠছে সুক্ষ্ম নকশা ও শিল্পকর্মের নিদর্শন। চারটি চেয়ার নির্মাণাধীন থাকলেও এর মধ্যে মূল আকর্ষণ এ বিশাল চেয়ারটি, যেটি এক নজরে যে কারো চোখে পড়ার মতো। চেয়ারের গায়ে করা হচ্ছে বিভিন্ন কারুকাজ, যাতে থাকছে ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের মিশ্রণ।

নির্মাণশিল্পীরা বলছেন, চেয়ারটির কাঠামো ও নকশা তৈরিতে তারা যেমন মনোযোগ দিয়েছেন, তেমনি প্রতিটি দিকেই ফুটিয়ে তুলছেন শৈল্পিক ভাবনা।

জানা গেছে, চেয়ারগুলো উপহার দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন উখিয়া থাইংখালী এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন। তিনি নিজ খরচে তৈরি করাচ্ছেন এই চারটি চেয়ার। বড় চেয়ারের পাশাপাশি বাকি তিনটি চেয়ার তুলনামূলকভাবে ছোট-প্রতিটির উচ্চতা প্রায় আড়াই ফুট। এগুলো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে উপহার দেয়া হবে।

চেয়ার তৈরির কাজ চলছে থাইংখালীর একটি দক্ষ আসবাব কারিগরের কারখানায়। কারখানার একজন কারিগর জানান, এ ধরনের চেয়ার আমরা আগে কখনো বানাইনি। এটা আমাদের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি গর্বেরও। চেয়ারগুলোতে রাজকীয় ভাব আনতেই আমরা নকশায় আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছি।

স্থানীয় রাজনীতিতে এ উপহারের বিষয়টি ইতোমধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আলোচনা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, এটি শুধু একটি উপহার নয়, বরং দলের নেতাদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার জন্য নির্মাণাধীন চেয়ারটি দলীয় নেতাকর্মীদের আবেগের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেত্রী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ আগের চেয়েও প্রবল হয়ে উঠেছে। এমন সময়ে ব্যতিক্রমধর্মী এ উপহারের আয়োজন অনেকের কাছেই এক ধরনের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বার্তা বহন করছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চেয়ারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে তা কিভাবে নেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে, সে বিষয়েও চলছে পরিকল্পনা।

জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, চেয়ারগুলো তৈরি শেষ হলে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। আমরা চাই, নেতারা নিজের চোখে এই ভালোবাসার নিদর্শনটি দেখুন।

এই বিশাল চেয়ার কেবল একটি উপহার নয়, বরং রাজনৈতিক অনুরাগ ও ভালোবাসার একটি প্রতীক হয়ে উঠতে চলেছে। উখিয়ার মাটিতে যা হয়তো ভবিষ্যতে নজির হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নেবে।