ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেছেন, ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এখন অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে সক্রিয় ও প্রভাবশালী টুলস। পাঠদান, গবেষণা, মূল্যায়ন ব্যবস্থা ও জ্ঞান সৃষ্টির কাঠামোতে এআই এমন এক রূপান্তর এনেছে, যা আমাদের প্রচলিত অ্যাকাডেমিক চিন্তাধারাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। ফলে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পাশাপাশি আমাদের মানবিক বোধ ও অ্যাকাডেমিক স্বচ্ছতা সংরক্ষণে এআইভিত্তিক কারিকুলাম প্রণয়ন করা অত্যন্ত জরুরি।’
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে ‘ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) দ্বারা আয়োজিত দ্য ফিউচার অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ইন অ্যাকাডেমিয়া : ডিসরাপশনস, ডাইলেমা অ্যান্ড নিউ ডিরেকশনস’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনে আমাদের যুগোপযোগী দক্ষতা অর্জন করতে হবে। প্রযুক্তিগত দক্ষতার পাশাপাশি মানবিক সংবেদনশীলতা, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও অ্যাকাডেমিক স্বচ্ছতা অক্ষুণ্ন রাখাও আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এআই ও জেন-এআই লিটারেসি, প্রশিক্ষণ ও আন্তঃবিভাগীয় গবেষণা উদ্যোগ জোরদার করা হলে এ প্রযুক্তি উচ্চশিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজকের এ সেমিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষকরা আরো সমৃদ্ধ হবেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন।’
অধ্যাপক ড. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে র্যাপোটিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘অ্যাকাডেমিয়ায় এআইয়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে আমাদের দায়িত্বশীল ব্যবহার ও দৃষ্টিভঙ্গি। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয় ঘটাতে পারলেই অ্যাকাডেমিয়া সত্যিকার অর্থে টেকসই ও উৎকর্ষমুখী হবে।’
তিনি অ্যাকাডেমিয়ায় এআই’র বর্তমান প্রয়োগ, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও শিক্ষা ব্যবস্থায় ভবিষ্যৎ মডেলের দিক-নির্দেশনা বিশদভাবে তুলে ধরেন।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, ইনস্টিটিউট ও সেন্টারের পরিচালক, আইকিউএসি এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দফতরের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে মনোনীত শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।



