কিশোরগঞ্জ বিএনপির সম্মেলন

প্রার্থিতার বৈধতার জন্য তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ চাইলো প্রার্থী

বুধবার দুপুরে জেলা শহরের চরশলাকিয়া এলাকায় ব্যক্তিগত চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন জেলা বিএনপির সদস্য মো: ওমর ফারুক।

মো: আল আমিন, কিশোরগঞ্জ

Location :

Kishoreganj
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো: ওমর ফারুক
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো: ওমর ফারুক |নয়া দিগন্ত

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা বিএনপির এক সদস্য। তবে তার মনোনয়ন নিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। একইসাথে সময় অনুযায়ী সব প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হলেও তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মনোনয়নপত্রের ‘সর্বশেষ অবস্থা’ জানতে চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নেতা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের চরশলাকিয়া এলাকায় তার ব্যক্তিগত চেম্বারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

ভুক্তভোগী মো: ওমর ফারুক জেলা বিএনপির সদস্য। এছাড়া তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওমর ফারুক অভিযোগ করে বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলন। সম্মেলন সফল ও বাস্তবায়ন করার জন্য কেন্দ্র থেকে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময় অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে তা যথাসময়ে জমা দিয়েছি। তফসিল অনুযায়ী ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, ১৪ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাই, একই দিন বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ এবং ১৬ সেপ্টেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার, চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে নির্বাচন কমিশন সব প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দ দিলেও আমার বিষয়ে কিছু জানাননি।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে দু’দিন অপেক্ষার পর সশরীরে আমি নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করেছি। একইসাথে মনোনয়নপত্রের বিষয়ে জানতে চেয়েছি, কিন্তু আমার মনোনয়নপত্র যদি বাতিল হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি আমাকে অফিসিয়ালি জানানোর কথা থাকলেও তা জানানো হয়নি। এ নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।

তিনি আরো বলেন, আমি দলের সক্রিয় একজন কর্মী। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমাকে জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে চাইছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে আমি আমার জমা দেয়া মনোনয়নপত্রের ‘সর্বশেষ অবস্থা’ জানার জন্যে লিখিত একটি দরখাস্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাই। তবে তারা আমার দরখাস্তটি গ্রহণ করলেও রিসিভ কপি দেননি। একইসাথে আমাকে পরে আসতে বলেন। এদিকে সম্মেলনের আর মাত্র দু’দিন বাকি রয়েছে। এ মুহূর্তে আমি কী করব বুঝতে পারছি না। দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনের আচরণে খুবই হতাশ হয়েছি।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ সময় কিশোরগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মো: খুরুম শেখ, হোসেনপুর পৌর সড়ক পরিবহন শ্রমিক দলের সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মাসুদ পারভেজ নয়ন, কিশোরগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, জিয়া সংসদ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক মো: খায়রুল ইসলাম, শ্রমিক দলের প্রচার সম্পাদক ইসলাম মোল্লা, হোসেনপুর পৌর কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জল ও ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওমর ফারুক কোনো ইউনিটের কাউন্সিলর নন। কাউন্সিলর না হলে ওনি প্রার্থী হতে পারেন না। যে কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশের বাইরে তো আর কোনো কিছু করতে পারি না। প্রয়োজন হলে লিখিতভাবেও জানিয়ে দেয়া হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক।