ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু

শেখ হাসিনা উন্নয়নের নামে লুটপাট ও টাকা পাচার করেছে

‘৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হয় তারাই সরকার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে স্বাধীনতা মেনে রাজনীতি করতে হবে।’

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Location :

Sirajgonj
সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু |নয়া দিগন্ত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে উন্নয়নের নামে লাখ লাখ কোটি টাকা লুটপাট করেছে এবং বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আর বিএনপি সহ বিরোধী দমনে জেল জুলুম,অত্যাচার নির্যাতন করেছে। তাদের অত্যাচারে জনগণ ফুঁসে উঠেছিল। নির্যাতিত জনগণ তাদের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। জনগণের তোপের মুখে তারা পালাতে বাধ্য হয়েছে।‘

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের স্মরণে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর তাদের অঙ্গভঙ্গি দেখে মনে হয় তারাই সরকার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে স্বাধীনতা মেনে রাজনীতি করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানে বিএনপি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। বিএনপি ১৬ বছর বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনে রাস্তায় রক্ত ঢেলে দিয়েছে। আপনারা একটা মোটা বই বের করেছেন। যার মলাটে লেখা আছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আপনারা প্রথম স্বাধীনতা দেখেন নাই। এজন্য দিয়েছেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আমি টুকু বলতে চাই, একটা দেশে স্বাধীনতা একবারই হয়। যে স্বাধীনতায় আমরা পেয়েছি একটা পতাকা ও মানচিত্র। যে স্বাধীনতা আমাদের একটা শাসনতন্ত্র দিয়েছে। আর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা নতুন বাংলাদেশ পাইনি। বাংলাদেশকে রাহু মুক্ত করা হয়েছে। যদি আপনারা বলেন পাকিস্তনের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে বাংলাদেশ আলাদা হয়ে গেছে। এই সমীকরণ মানতে আমরা রাজি না। পাকিস্তান আমাদের নির্যাতন করেছে। পাকিস্তান আামাদের শোষণ করেছে। এ শোষনের বিরুদ্ধে এ দেশের মানুষ এক হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এ স্বাধীনতা পেয়েছি। এজন্য বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে স্বাধীনতা মেনে রাজনীতি করতে হবে। বিএনপিকে জেল জুলুম, অত্যাচার, গুম, খুনসহ নানা নির্যাতন করা হয়েছে। এজন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তাকে পালাতে হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনী দল। বিএনপি নির্বাচন করেই বারবার ক্ষমতায় এসেছে। বেগম জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেই হয়েছিলেন। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। আমরা জনগণ নিয়ে চলতে যাই। আপনারা ধর্মের কথা বলেন। একেক সময় একেক কথা বলে মোনাফেকি কইরেন না। জনগণ আপনাদের পিআর পদ্ধতি বোঝে না। তারা পুরানা পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। পিআর বাস্তবায়নের ধোয়া তুলে নির্বাচন পেছানোর কুট কৌশল সহ্য করা হবে না। যারা পিআর বাস্তবায়ন করতে চায় তারা আওয়ামী লীগকেই পুনর্বাসিত করতে চায়।’

জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম।

এছাড়াও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর কায়েম সবুজ, আবু সাঈদ সুইট, সেলিম ভূইয়া, মুন্সি জাহিদ আলম, বিএনপির জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সিমকি ইমাম খান, শিল্পী কনক চাঁপা, যুবদল নেতা আলামিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুল্লাহ আল কায়েস, ছাত্রদল নেতা জুনায়েদ আহমেদ সবুজ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।