উত্তর চট্টগ্রামের সন্ত্রাসকবলিত রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গুলিতে যুবদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ আমলের মামলায় গত ১২ বছর তিনি কারাভোগ করে সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আলমগীর ওরফে আলম (৫৫)।
এ নিয়ে ১৮ দিনের ব্যবধানে রাউজানে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই কর্মী খুন হলেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। আমরা এখনো মাঠে আছি।’
প্রাথমিকভাবে প্রতিপক্ষের গুলিতে আলমগীর নিহত হয়েছেন বলে জেনেছেন মর্মে তিনি জানান।
এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খোন্দকার এক বিবৃতিতে বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব রাউজান সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ি নিবাসী পৌরসভা যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলমগীর প্রকাশ আলমকে তার বাড়ির অদূরে কায়কোবাদ জামে মসজিদের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নিহত যুবদল নেতা আলমগীর আলম আওয়ামী শাসনামলে দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর কারাভোগের পর সম্প্রতি কারামুক্ত হয়েছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। ‘আজকে সে স্বাধীন সার্বভৌম দেশের এ সময়ে রাউজানের বিরাজমান অস্থিতিশীল ও নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হলো।’
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত খুনী এবং খুনের নির্দেশদাতাদের যে বা যারা যত বড় গডফাদারই হোক না কেন তাদেরকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
তিনি রাউজানের আতঙ্কিত আপাময় নিরীহ জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানেরও জোর দাবি জানিয়েছেন।
ইতোপূর্বে গত ৭অক্টোবর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের মদুনাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের মাত্র ২০০ মিটার দূরে মোটরসাইকেলে করে এসে একদল অস্ত্রধারী প্রকাশ্যে গুলি করে মুহাম্মদ আবদুল হাকিম নামে রাউজানের এক প্রভাবশালী বিএনপি কর্মীকে হত্যা করে।



