বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিল খন্দকার (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাগ্নে তৌফিক ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেলিপুকুর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত শাকিল খন্দকার বগুড়া শহরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাকিবুল্লাহ খন্দকারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তেলিপুকুর এলাকায় বালু ব্যবসা ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে শাকিল খন্দকারের সাথে প্রতিপক্ষের দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা দেয়ার কথা বলে শাকিলকে তার আত্মীয় সুজন ডেকে নেয় তেলিপুকুর গ্যাস পাম্পের পেছনের এলাকায়। সেখানে গেলে পলাশ ও তার ৩০-৪০ জন সহযোগী প্রথমে শাকিলের ভাগ্নে তৌফিককে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করলে তিনি পালিয়ে যান।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা মব তৈরি করে উল্টো শাকিলের ছেলে জয়ের (২৮) হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
রাতেই স্বজনরা শাকিলের সন্ধান পেতে পুলিশের শরণাপন্ন হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে শনিবার সকালে ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় শাকিলের ছেলে আপন (২৫) ও অপূর্ব (২২) আহত হয়েছেন। নিহতের ভাগ্নে তৌফিক ইসলাম (৩২) ও তার বাবা রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শাকিলের চাচাতো ভাই মিরাজ খন্দকার জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিলয় ও রাতুলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।