ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিক সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ফুটবল প্রতিযোগীতায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ভোলার তিন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা চিলড্রেন স্পেশাল স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত তিনজনই বাংলাদেশ স্পেশাল জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়ান দলের খেলোয়াড় এবং ভোলা চিলড্রেন স্পেশাল স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা সবাই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী।
এদের মধ্যে পুরুষ ফুটবল দলে রায়হান ও বিপ্লব এবং নারী দলে তানজুম স্বপ্নপদক পেয়েছেন। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তানজুম টুনার্মেন্ট সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। পদক পাওয়ার পর খুশি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
রায়হান, বিপ্লব ও তানজুমের অভিভাবকরা জানান, ‘প্রতিবন্ধীরা পরিবারের বোঝা নয়, তারা দেশের সম্পদ তারা সেটাই প্রমাণ করেছে, সন্তানদের নিয়ে আমরা গর্বিত।’
শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের এমন অর্জন জেলার সুনাম বয়ে এনেছে।
স্কুলের পরিচালক মো: ইসমাইল বলেন, ‘এরআগেও বার্লিনে বিশেষ অলিম্পিকে আমাদের ছয় শিক্ষার্থী স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক পেয়েছিল। আবারো আমাদের শিক্ষার্থীরা সুনাম অর্জন করেছে, এটা নিয়ে আমরা খুশি।’
ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মুহাম্মদ আবু তাহের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই অর্জন আমাদেরকে আনন্দিত ও গর্বিত করেছে।’
ভোলা চিলড্রেন স্পেশাল স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শওকাত হোসেন বলেন, ‘এটা প্রমাণ করে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, তারা দেশের সম্পদ। সেই সম্পদকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব আমাদের।’
এদিকে, স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সহপাঠীরা। পরে স্কুলের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা তাদের শুভেচ্ছা জানান।
উল্লেখ্য, গত ১০ থেকে ১৪ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় স্পেশাল অলিম্পিক সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ফুটবল প্রতিযোগিতা। এতে এশিয়ার ছয়টি দল অংশ নেয়। নারী ও পুরুষ উভয় গ্রুপেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন দলের তিনজনের বাড়ি ভোলায়।



