ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নিজ বাড়ির বসতঘর থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মো: রাকিবুল হাসান (১৮) নামে ওই তরুণের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলার সোহাগি ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাকিবুল হাসান বাড়িতে একাই থাকত। ২০২৩ সালে স্থানীয় হাটুলিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দেয়ার পর আর লেখাপড়া করেনি রাকিব। মা রুবিনা আক্তার ও রাকিবুলের ছোট ভাই ১০ বছর বসয়ী শাকিলকে নিয়ে তার বাবা আব্দুস সালাম নরসিংদী থাকেন। সেখানে একটি গরুর খামার দেখাশোনার কাজ করেন রাকিবের বাবা-মা। একমাত্র বোন সালমার বিয়ের হয়েছে পার্শ্ববর্তী দরিবৃ গ্রামে।
রাকিবের ফুফু শিউল আক্তার (৪০) বলেন, ‘রাকিব ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আমি রাকিবের ঘরে গিয়ে দেখি ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকি দেখি রাকিবের মুখে বালিশ চাপা দেয়া। পরে আমি আশপাশের লোকদের ডাক দিই। সবাইকে নিয়ে এসে মুখের বালিশ সরিয়ে দেখি রাকিবকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
আহাজারি করে রাকিবের একামাত্র বোন সালমা খাতুন বলেন, ‘আমার ভাইকে কারা এইভাবে মারলো গো? আমি তাদের সর্বোচ্চ বিচার চাই।’
রাকিবের মামাতো ভাই জুবাইদ হাসান জানায়, ‘বুধবার রাত ১০টার দিকে রাকিবের সাথে আমার দেখা হয়। তখন সে আমাকে বাজার থেকে বিস্কুট ও সিগারেট আনতে বলে। আমি বাজার থেকে বিস্কুট আর সিগারেট এনে দু’জন একসাথে বসে খেয়েছি। ১১টা বাজতেই রাকিব আমাকে বলে শুয়ে পড় গিয়ে, আমিও ঘুমাতে যাই। এটাই তার সাথে আমার শেষ কথা বলা। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ঘুম থেকে উঠে শুনি এই ঘটনা।’
পরিবার ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কে বা কারা এভাবে ছেলেটিকে হত্যা করলো। কেনইবা মারলো?—এই প্রশ্নের উত্তরটি এখনো সবার অজানা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এবিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এছাড়া অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’