কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভায় বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে পৌর সার্ভেয়ারের সাথে হাতাহাতির ঘটনায় অফিস সহায়কের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌর ভবনের ১১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অফিস সহায়কের স্বজনরা পৌর সার্ভেয়ারের বাড়িঘর ভাংচুর ও পৌরসভার প্রধান ফটক আটকে বিক্ষোভ করেছেন।
নিহত অফিস সহায়ক পৌরসভার শেরকান্দি গ্রামের মরহুম গঞ্জের আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম কুটি (৫৬)।
জানা যায়, কুমারখালী পৌরসভায় ৫৭ জন কর্মকর্তা /কর্মচারীর ৪২ মাসের প্রায় ১০ কোটি টাকা বেতন বকেয়া থাকায় সকালে বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে অফিস সহায়ক শহিদুল পৌরসভার বিভিন্ন দফতরের দরজা আটকে দেন। এসময় ১১৫ নম্বর কক্ষের সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলামের কক্ষ বন্ধ করতে গেলে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পৌরসভার অন্যরা বিরোধ নিরসনে ফিরোজুলকে ১১৫ নম্বর এবং শহিদুলকে ১০১ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। পরে কিছু সময় পর তারা ১০১ নম্বর কক্ষে গিয়ে শহিদুলকে ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখে তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার জিয়াউর রহমান জানান, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’



