ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নে দুই বছর বয়সী ছেলের গলায় ছুরি ধরে মাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলায় পুলিশ চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর খাল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে বলে জানান মনপুরা সদর থানার ওসি আহসান কবির।
ওসি জানান, ঘটনার দু’দিন পর বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মনপুরা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে ওই ভুক্তভোগী নারী চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। পরে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নে মনপুরা থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে। তবে ওই ঘটনায় জড়িত অপর এক আসামি পলাতক রয়েছে।
আটক তিন আসামি হলেন, খোরশেদ আলমের ছেলে রুবেল, জাহাঙ্গীর পাটোয়ারীর ছেলে নাহিদ ও সালাউদ্দিন সওদাগারের ছেলে সাব্বির হোসেন ওরফে জিহাদ। তবে মামলায় অপর আসামি সজিব পলাতক রয়েছে। এদের সবার বাড়ি উপজেলার বিচ্ছিন্ন কলাতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ‘আমার স্বামী চাকরি করেন ঢাকায়। ঘরে আমার একমাত্র সন্তানকে নিয়ে থাকি। সোমবার রাতে আমার মোবাইলফোনে কল দিয়ে বলে আপনার ফোনে ৫০ টাকা লোড গেছে। টাকা ফেরত দেন। কিন্তু আমি ব্যালেন্স চেক করে দেখি টাকা আসে নাই। তারপরও ওরা বারবার কল করে বিরক্ত করে। পরে রাত আনুমানিক ২টার পর ঘরের বেড়া কেটে ঘরে প্রবেশ করে আমার ছেলের গলায় ছুরি ধরে। দুইজন আমার মুখ ও হাত-পা চেপে ধরে। পরে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা জানাজানি হলে স্বজনদের পরামর্শে ঘটনার দুইদিন পর মনপুরা থানায় এসে মামলা করি।’
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানান, ‘ছেলের গলায় ছুরি ধরে চার যুবক এক নারীকে গণধর্ষণ করে। পরে থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ও মামলার চার আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’