নান্দাইলে সীমানা বিরোধে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৬

আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।

ময়মনসিংহ অফিস

Location :

Mymensingh
ময়মনসিংহ ম্যাপ
ময়মনসিংহ ম্যাপ |নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তার হোসেন (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন।

আজ শনিবার সকালে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার সকালে সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় আক্তার হোসেনকে হাসপাতালে নেয়া হলে দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহন আক্তার হোসেন ভাটিসাভার (বিলপাড়) গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানার এক হাত জায়গা নিয়ে নিহত আক্তারের চাচা আব্দুল হেলিম ও ভাই জসিম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুল হেলিম পরিবারের স্বপন, রাজীব, আব্দুল হেলিম, সুলেমা খাতুন, সুমন মিয়া, মোস্তুফা, ফিরোজা, রিনা ও হামিদা বেগমসহ নয়জন আহত হন।

হেলিমের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও এলাকাবাসীর মীমাংসার উদ্যোগে অভিযোগটি রেকর্ডভুক্ত হয়নি।

শুক্রবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জহুরুল ইসলামের ছেলে জসিম উদ্দিনের পরিবারের সাতজন গুরুতর আহত হন।

আহতরা হলেন- আক্তার হোসেন, শামীম মিয়া, কল্পনা আক্তার, মিলন মিয়া, রাসেল মিয়া, জুয়েল ও অজুফা বেগম। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় আক্তার হোসেনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে দুপুরে তিনি মারা যান।

আক্তারের মা হাজেরা বেগম (৭০) বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং তাদের শুক্রবার আদালতে হস্তান্তর করা হবে।