পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির অনুমতি দেয়ায় তিন মাস ছয় দিন বন্ধ থাকার পর আবারো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে মত আমদানিকারকদের।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। হিলি স্থলবন্দরের রকি ট্রেডার্স নামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০টন পেঁয়াজ আমদানি করে। প্রতিটন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে ২৪৫ ডলার।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক রকি ট্রেডার্সের আতিক হাসান বলেন, ‘দেশের বাজারে পেয়াজের ঊর্ধ্বমুখি হয়ে উঠলে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়। সে মোতাবেক আমরা আজ সকালে পূর্বের আবেদনগুলো নতুন করে সাবমিট করি। প্রথমদিন ৫০ জন আমদানিকারক আমদানির অনুমতি পায় এর মধ্যে আমরাও ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছি। ইতোমধ্যেই আমাদের আমদানিকৃত পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক দেশে প্রবেশ করেছে। আমদানির খবরেই দেশে পেঁয়াজের দাম কমে আসছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দাম সাধারণের নাগালের মধ্যেই চলে আসবে।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা বলেন, ‘দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখায় গত ৩০ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। দেশে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখি হয়ে উঠলে দাম নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে আবারো পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আজ প্রথমদিন হিলি স্থলবন্দরের চারজন আমদানিকারক ১২০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। ইতোমধ্যেই বন্দর দিয়ে রকি ট্রেডার্স নামের এক আমদানিকারক ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এসব পেঁয়াজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সনদ প্রদান করা হবে। এরপর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিতে পারবেন আমদানিকারকরা।’



