কুলাউড়া সংবাদ সম্মেলনে শওকতুল ইসলাম শকু

কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা আছে উপজেলা তৃণমুল বিএনপির

‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা আছে উপজেলা বিএনপিসহ তৃণমুল বিএনপির। নেতাকর্মীরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে।’

ময়নুল হক পবন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)

Location :

Kulaura
কুলাউড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে শওকতুল ইসলাম শকু
কুলাউড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে শওকতুল ইসলাম শকু |নয়া দিগন্ত

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী শওকতুল ইসলাম শকু বলেছেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা আছে উপজেলা বিএনপিসহ তৃণমুল বিএনপির। নেতাকর্মীরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে।’

মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে ১৭ বছর শওকতুল ইসলাম শকুকে বিএনপি দলীয় প্রার্থী দেয়ায় কুলাউড়া বিএনপি পরিবারের ৯৫ ভাগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করছেন বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শওকতুল ইসলাম শকুর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

এমনকি মনোনয়ন বঞ্চিত অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছেন বলে দাবি করেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী শওকতুল ইসলাম শকু, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রেদোয়ান খান, বর্তমান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাচ্ছু, সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল।

সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী শকু আরো বলেন, ‘কুলাউড়ার বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী যুবদল ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবক দল কৃষক দল সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে আমার পক্ষে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বিএনপি পরিবার আমাকে বিজয়ী করার মাধ্যমে তারেক রহমান ও ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে কুলাউড়া আসনটি উপহার দিতে চায়।’

শকু বলেন, ‘আমার কোনো চাওয়া পাওয়া নেই আমি মানুষের খেদমতে আমি নিরলসভাবে কাজ করাই আমার মূল উদ্দেশ্য। আমি ইংল্যান্ডে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলাম বাংলাদেশে এসে স্কুল, মাদরাসা মসজিদ প্রতিষ্ঠা ও দান করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে আমার পরিবারের মাধ্যমে চক্র শিবির পরিচালনা করে মানুষকে সেবা প্রদান করে আসছি। প্রতিটি দুর্যোগে বন্যা খরায় আমি মানুষের পাশে ছিলাম। কুলাউড়াবাসীর জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা। কোনো নেতাকে ধরে আমার বাসায় আসতে হবে না, যেকোনো সময় যে কেউ আমার বাসায় চলে আসবেন। গত ১৭ বছর আমি যেভাবে বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীসহ কুলাউড়াবাসীকে আগলে রেখেছিলাম ইনশাআল্লাহ আমি এমপি হল সেভাবে আগলে রাখবো।’

আমি কুলাউড়াবাসির উদ্দেশ্যে বলবো, ‘আমি শুধু বিএনপির প্রার্থী নই আমি আপামর জনগণের প্রার্থী গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের প্রার্থী, সকল মানুষের প্রার্থী। কোন বৈষম্য থাকবে না সকলকে নিয়ে মিলেমিশে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ইনশাআল্লাহ করব। বিশেষ করে কুলাউড়ায় টেকনিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা, মিনি স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা, যানজট নিরসনে মাস্টার প্ল্যান, কুলাউড়া হসপিটালকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, হাকালুকি হাওরকে পর্যটনে উন্নীতকরণ, কুলাউড়ার অসমাপ্ত রাস্তাঘাটকে পাকাকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আধুনিকায়ন, মাদরাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন, কুলাউড়ার চা বাগান গুলিতে শ্রমিকদের সমস্যা নিরসনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করা, সীমান্ত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স মাদকমুক্ত যানজট মুক্ত কুলাউড়া উন্নয়নের রোডমডেল হবে। দল মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় বসবাসযোগ্য কুলাউড়া উপহার দেবো ইনশাআল্লাহ।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের মনোনয়ন বঞ্চিত আবেদ রাজা দলের ঐক্যে ফাটল সৃষ্টির পায়তারায় লিপ্ত রয়েছেন। তাকে নিবৃত্ত হয়ে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে আহ্বান জানান শকু।

সংবাদ সম্মেলনে কুলাউড়া উপজেলা জয়নাল আবেদীন বাচ্চু বলেন, ‘কুলাউড়া বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ। কেন্দ্র ঘোষিত প্রার্থী শওকতুল ইসলাম শকুকে বিজয়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। দল চাঙা হয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মী, সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত দীর্ঘদিন পর দলীয় প্রার্থী পাওয়ায়।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল জানান, ‘কোনো বিভ্রান্তিতে কুলাউড়া বিএনপির নেতাকর্মী কান দেবে না। বিপুল ভোটে শকু সাহেবকে এমপি নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাবে জনগণ।’

সাবেক আহ্বায়ক রেদওয়ান খান বলেন, ‘দলের প্রার্থী শওকতুল ইসলাম শকুর পক্ষে কুলাউড়ায় জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আসনটি আমরা দলকে উপহার দেবো।’