নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেন অবশেষে ভারত সীমান্তে গ্রেফতার হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় দর্শনা থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং পরদিন প্রতারণার মামলায় আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং পরে দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার সরনখোলা থানার রাজের গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন জানান, জুবায়ের ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু অবস্থানকালে বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন সিল জাল করে ভুয়া গমন দেখান। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে না গিয়েও ভুয়া অ্যান্ট্রি দেখিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতীয় পুলিশ তাকে হাতে-নাতে আটক করে। এরপর এসআই তুহিন হোসেন প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহীদ তিতুমীর জানান, গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হলে বিজ্ঞ আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের শীর্ষ পদে থাকা জুবায়ের হোসেনের নাম এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে এসেছে। কেসিনো কাণ্ডের সময় তিনি ছিলেন আলোচিত সম্রাটের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও কেসিনো বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে শেখ হেলালের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। পারিবারিক সম্পর্কও তাকে আরো শক্তিশালী করে তোলে, কারণ তিনি আনার এমপির মেয়ে ডরিনের স্বামী। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক ও পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে নানা অভিযোগে আড়ালে থাকলেও এবার আইনের জালে আটকা পড়লেন জুবায়ের হোসেন।