ফকিরহাটে চা দোকানির এক মাসে বিদ্যুৎ বিল তিন লাখ টাকা

এর আগে প্রতিমাসে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আসতো। গতমাসে অতিরিক্ত বিল আসে ১ হাজার ৮৭৬ টাকা। ফকিরহাট জোনাল অফিসে সংশোধনের পর বিলটি ৩১৬ টাকা করা হয়।

রবিউল ইসলাম, বাগেরহাট

Location :

Bagerhat
চা দোকানির বিদ্যুৎ বিল
চা দোকানির বিদ্যুৎ বিল |নয়া দিগন্ত

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার লখপুর বাজারে এক চা দোকানির বিদ্যুৎ বিল এক মাসে ৩ লাখ ১ হাজার ৭৪৬ টাকা এসেছে। মাত্র দু‘টি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ চালিয়ে এ অবিশ্বাস্য বিল আসায় হতবাক দোকানি অপূর্ব কুন্ডু ও তার পরিবার।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লখপুর বাজারে এক কক্ষের ছোট্ট চায়ের দোকানটি বহুবছর ধরে চালিয়ে আসছে অপূর্ব কুন্ডুর পরিবার। বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করেন অপূর্ব কুন্ডু, তার মা তপতী রানী কুন্ডু ও স্ত্রী। দোকানে রয়েছে মাত্র দু‘টি বাল্ব, একটি ফ্যান ও একটি ফ্রিজ।

এর আগে প্রতিমাসে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল আসতো। গতমাসে অতিরিক্ত বিল আসে ১ হাজার ৮৭৬ টাকা। ফকিরহাট জোনাল অফিসে সংশোধনের পর বিলটি ৩১৬ টাকা করা হয়।

চলতি মাসে দেখা যায় ৩ লাখ টাকার বেশি বিল এসেছে। এ বিল দেখে হতভম্ব হয়ে যান অপূর্ব কুন্ডু ও তার পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা এসে বিলটি নিয়ে যান।

অপূর্ব কুন্ডু বলেন, নিয়মিত বিল দিয়েছি। হঠাৎ কয়েক মাস ধরে অতিরিক্ত বিল আসছে। তাদের ভুলের জন্য বারবার ভোগান্তিতে পড়ছি।

ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ভুল আর না হয় সেজন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

শুধু অপূর্ব কুন্ডু নয় লখপুর এলাকার আরো অনেক গ্রাহকের নামেও এভাবে অতিরিক্ত বিল আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গ্রাহকদের দাবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা মিটার না দেখে অনুমান নির্ভর বিল তৈরি করায় এধরনের ভোগান্তি হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফকিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আনন্দ কুমার কুন্ডু বলেন, বিলিং সহকারীর ভুলের কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ইতোমধ্যে ভুলটি সংশোধন করে অপূর্ব কুন্ডুর হাতে ৩১০ টাকার বিল দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিলিং সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামের চা দোকানি তাইজুল ইসলামের নামে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকার বিল করা হয়েছিল। অথচ তার প্রকৃত বিল ছিল মাত্র ১৬২ টাকা।