মির্জাগঞ্জে এক ইলিশের দাম ৬ হাজার টাকা

মাছটি নিলামে ছয় হাজার টাকায় জাকির হোসেন নামের ব্যবসায়ী কেনেন। মাছটি দেখতে ভিড় জমায় অনেকে।

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

Location :

Patuakhali
পায়রা নদীতে জেলে নিরবেরজালে মাছটি ধরা পড়ে এদিন সকালে।
পায়রা নদীতে জেলে নিরবেরজালে মাছটি ধরা পড়ে এদিন সকালে। |নয়া দিগন্ত

‎পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ১ কেজি ৮২০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) সাপ্তাহিক হাটের দিন সকাল ১০টার দিকে সুবিদখালী বাজারের আড়তে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন জেলে নিরব হাওলাদার।

পায়রা নদীতে জেলে নিরবেরজালে মাছটি ধরা পড়ে এদিন সকালে।

সুবিদখালী মৎস্য বাজারের মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী হরেন বাবু বলেন, মাছটি নিলামে ছয় হাজার টাকায় জাকির হোসেন নামের ব্যবসায়ী কেনেন। মাছটি দেখতে ভিড় জমায় অনেকে। সচারচর এত বড় মাছ এই বাজারে খুব কম পাওয়া যায়।

মাছটির ক্রেতা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, এত বড় ইলিশ এখন খুব কম পাওয়া যায়। মাছটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব মনে হয় তাই কিনেছি, কত টাকা লাভ করা যায় জানি না।

মাছটির ওজন ১ কেজি ৮২০ গ্রাম। নিলামে তিনি ২ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে মোট ৫ হাজার ১০০ টাকা ও কমিশনসহ মোট ছয় হাজারে ইলিশটি নিলাম থেকে ক্রয় করেছি।

স্থানীয় ক্রেতা আসলাম হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, তিন হাজার টাকা কেজি দরে ইলিশ কেনা এখন আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আগে মাসে অন্তত একবার হলেও ঘরে বড় ইলিশ কিনে নিয়ে যেতাম, নদীতে মাছ না পড়ায় দিন দিন সেটা অসম্ভব হয়ে উঠছে।

‎মির্জাগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মু. মাহফুজুর রহমান বলেন, এটি নিষেধাজ্ঞার সুফল বলা যায়। গভীর সমুদ্রে এমন বড় বড় ইলিশ থাকে। বড় ইলিশে ফ্যাট, ভিটামিন বেশি থাকে, যা হৃদরোগ, চোখের সমস্যা ও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। আগের মতো এখন আর বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এটার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন ছোট ইলিশের অতিরিক্ত আহরণ, পানির প্রবাহ কমে যাওয়া, বাঁধ ও স্লুইস গেট, অবৈধ জাল ব্যবহার, পানিদূষণ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণেও বড় ইলিশের সংখ্যা কমছে। তবে মৎস্য বিভাগ মাছের উৎপাদন বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।