পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে, পাল্লা দিয়ে কমছে দিনের তাপমাত্রা। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহও। জেলায় টানা পাঁচ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করলেও এবার তা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রিতে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ।
জেলায় কয়েকদিন ধরে তাপমাত্র ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে বিরাজমান করছে।
এদিকে, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা দেখা যায়। শীত বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগও। প্রচণ্ড ঠান্ডায় সাধারণ মানুষের শীতের কষ্ট বেড়েছে কয়েক গুণ। রাস্তা ঘাট, চা-স্টল ও বাড়ির সামনে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু, বয়স্ক ও রোগীদের ওপর এর প্রভাব বেশি পড়ছে। দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের সঙ্কটে রয়েছে।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো: সায়েমুজ্জামান বলেন, এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর থেকে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। জেলায় প্রায় আট হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
আরো ৬৫ হাজার অসহায় শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত কয়েকদিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও কমতে শুরু করেছে। চলতি মাসে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের বেশিভাগ সময়ই কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকার কারণে সূর্যের আলো ভূপৃষ্টে কমে আসায় দিনের বেলাতেও হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সামনে আরো তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।



