নারায়ণগঞ্জের কোরবানির হাটগুলোতে গরুর জন্য হাহাকার লেগেছে। শুক্রবার প্রায় হাটের কোরবানির পশু বিক্রি হয়ে গেছে। কোরবানি পশু কেনার জন্য এক হাট থেকে অন্য হাটে ছুটছেন ক্রেতারা। অনেকে নিজ এলাকার হাটে গরু না থাকায় ১০/১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে হাটগুলোতে কোরবানির পশু খুঁজছেন।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের ঈদুল আজহার একদিন আগের দিন শুক্রবার কোরবানির পশুর হাট খালি হয়ে গেছে। হাটগুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও পশু নেই হাটগুলোতে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নম্বর ঢাকেশ্বরী হাটে গিয়ে দেখা যায় পুরো হাটে শুধুই বাঁশের তৈরি কাঠামো। অল্প কিছু ছাগল ও গরু রয়েছে হাটটিতে।
একই দৃশ্য দেখা গেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কয়লার ঘাট হাটে। হাটটি একেবারেই পশু শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে। হাটে ক্রেতারা এখনো আসছেন তবে নেই কোরবানির পশু।
এদিকে হাটে পশু না পেয়ে শহরের বিভিন্ন পশুর খামারের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। হাটে পশু না পেয়ে অনেককেই বৃহস্পতিবার রাত থেকেই খামার থেকে পশু কিনতে দেখা গেছে।
শহরের গলাচিপা এলাকার বাসিন্দা হাসান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কয়েকটি হাটে ঘুরেছি। হাট একেবারেই খালি। তাই সকালে স্থানীয় একটি ফার্ম থেকে কোরবানির পশু কিনেছি।
জালকুড়ি এলাকার বাসিন্দা ইমাম হোসেন জানান, কয়েকটি হাট ঘুরেছি গরু নাই। এখন দূরের হাটগুলোতে গিয়ে দেখি গরু পাওয়া যায় কি না। কোরবানি তো দিতে হবে।
ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে পাশে ভুইগড় সোনালী সংসদ মাঠে, তুষার ধারা গরুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে হাট দুইটি গরুশূন্য। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আজিজ জানান, বৃহস্পতিবার শেষ রাতেই হাটের গরু বিক্রি শেষ হয়ে গেছে।
তুষার ধারা হাটের ইজারাদার আনোয়ার হোসেন জানান, এবার গরুর বেপারিরা সামান্য লাভ পেয়েই গরু বিক্রি করে দিয়েছে। শুক্রবার সকালে কয়েকটি গরু ছিল তাও বিক্রি হয়ে গেছে।
ভুইগড় খেলার মাঠের ইজারাদার মাজেদুল জানান, বেশির ভাগ গরু বৃহস্পতিবার রাতেই বিক্রি হয়ে গেছে।
গোগনগর আউয়ালের ঘাট এলাকার গরুর হাটের ইজারাদার রাশেদুল ইসলাম জানান,হাটে গরু নাই বৃহস্পতিবার রাতেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। ক্রেতাদের কথা মনে করে আমরা অন্য স্থান থেকে কয়েকটা গরু ম্যানেজ করেছি।