মামলা করতে নিষেধ করলেন নেতারা

বড়াইগ্রামে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ধামাচাপা

‘এ ধরণের ঘটনা সালিশে মিমাংসার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা

Location :

Baraigram
বড়াইগ্রামে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ধামাচাপা
বড়াইগ্রামে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় শিশু ধর্ষণ চেষ্টা ধামাচাপা |নয়া দিগন্ত

বড়াইগ্রামে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে এক শিশুকে (১০) ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত গুলজার হোসেনের (৪৮) কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকার একটি চেক নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন।

রোববার (১০ আগস্ট) ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযুক্ত গুলজার হোসেন চরগোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই শিশুটি প্রাইভেট পড়ে বৃষ্টির মধ্যে একাই বাড়ি ফিরছিল। এ সময় ঝোপঝাড় বেষ্টিত নির্জন রাস্তায় গুলজার তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে গুলজার দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আশরাফ সরদারের নেতৃত্বে বিষয়টি নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক বসে। সেখানে অভিযুক্তকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টি আপোষ করা হয়। ওই বৈঠকে গুলজার হোসেন জরিমানার টাকার একটি চেক দিলে সেটি আরেক বিএনপি নেতার কাছে জমা রাখা হয়। এ সময় ওই শিশুর পরিবারকে থানায় মামলা করতেও নিষেধ করেন নেতারা। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই শিশুর অভিভাবকদের কাছে চেক বা কোনো টাকা হস্তান্তর করা হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জোনাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আশরাফ সরদার বলেন, ‘স্থানীয় লোকজনের কথা মেনে আমরা বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। এ সময় এ ধরণের বিষয় সালিশে আপোষযোগ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের নগদ টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেন।’

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরণের ঘটনা সালিশে মিমাংসার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’