ঝিনাইদহের শৈলকুপায় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করে যৌথ বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের সেখড়া গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে শেকরা গ্রামের জিয়া মণ্ডলের সাথে প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম পাভেলের দুই পরিবারের মাঝে পারিবারিক শত্রুতা ছিল। সম্প্রতি শেকরা বাজারে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্টকে কেন্দ্র করে জিয়া মণ্ডলের সাথে পাভেলের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তার জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সাইফুল ইসলাম পাভেল ৮ থেকে ১০ জন লোক নিয়ে মো: জিয়া মণ্ডলের বাড়িতে সালিশ মিমাংশার জন্য যায়। পরে ডাকাত সন্দেহে করে এলাকাবাসী তিনজনকে আটক করে। এর মধ্যে জনতা সাইফুল ইসলাম পাভেল নামের এক ব্যক্তিকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় উৎসুক জনতা মো: জিয়া মণ্ডল বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর দু’টি পিস্তল ও দু’টি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখে শৈলকুপা আর্মি ক্যাম্পকে অবগত করলে শৈলকূপা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আসিফ মোস্তফার নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি দল সেখান থেকে দু’টি অস্ত্র, আট রাউন্ড অ্যামোনিশন ম্যাগাজিন, দু’টি মোটরসাইকেল এবং দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের সানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল, আজগারের ছেলে আলী রাজ শেখ, কিয়াম উদ্দিন মোল্লার ছেলে সুবাদ আলীসহ তিনজকে আটক করে। পরে আটককৃত ব্যক্তিদের অস্ত্রসহ শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করে।
এদিকে সাইফুল ইসলাম পাভেল গুরুতর আহত হওয়ায় শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার তাকে জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাফর নামের এক ব্যক্তি জানান, দীর্ঘদিন ধরে জিয়া মণ্ডলের সাথে এদের বিরুদ্ধে চলে আসছিল তার কারণেই হয়তো এই ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত শাকিল আহমেদ জানান, রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে। এদের মধ্যে একজন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে থাকাই বাকি দু’জনকে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে কোর্টে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।