যুদ্ধবিধ্বস্ত দক্ষিণ সুদানের আবেই শহরে জাতিসঙ্ঘ শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালনকালে নিহত সেনাসদস্য নাটোরের লালপুর উপজেলার সন্তান মাসুদ রানার লাশ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বোয়ালিপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের বোয়ালিয়াপাড়া গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে, মাসুদ রানার লাশ বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুপুর ২টা ২০ মিনিটে করিমপুর সরকারি হাই স্কুল মাঠে অবতরণ করে।
সুদানে নিহত করপোরাল মাসুদ রানার লাশ শনিবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছে। এরপর রোববার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কর্তৃপক্ষ নিহত সেনা সদস্য মাসুদ রানার লাশ তার ভাই সেনাসদস্য মনিরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে।
সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে করপোরাল মাসুদের লাশ তার গ্রামে পৌঁছানোর কথা থাকলেও আবহাওয়া খারাপ থাকায় লাশ বহনকারী হেলিকপ্টারটি প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্বে গ্রামে পৌঁছে।
মাসুদ রানার প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিহত মাসুদ রানাকে শেষ বেলা এক পলক দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছিলেন। মাসুদ রানা ভদ্র ও বিনয় স্বভাবের ছেলে ছিল। তার মৃত্যুতে গ্রামের মানুষ খুবই কষ্ট পেয়েছে। তার লাশ এলাকায় আসার পরে মানুষ শোকে আপ্লুত হয়ে পড়ে।
নিহত সেনাসদস্য মাসুদ রানার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাদিরাবাদ ও বগুড়া সোনানিবাস থেকে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস গার্ড বাহিনী ও সেনা কর্মকর্তারা।
তার জানাজায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাটোর-১ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ পাপ্পুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় করপোরাল মাসুদ রানাসহ ছয়জন সেনাসদস্য নিহত হন। এ সময় আরো আট সেনাসদস্য আহত হন।



