ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পড়শীপাড়া গ্রামের আবু সাহিদের ছেলে, হতদরিদ্র অটোরিকশা চালক জাকির হোসেন এশার নামাজ শেষে ফিরে এসে দেখেন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি নেই। এ ঘটনায় দিশেহারা জাকির হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জানা গেছে, বাবার গাভী বিক্রি করে এবং পরিচিত মানুষের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে অটোরিকশাটি কিনেছিলেন জাকির হোসেন। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও মা-বাবাকে নিয়ে অভাব-অনটনের সংসারে একমাত্র আয়ের উৎস ছিল অটোরিকশাটি।
গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিদিনের মতো বিকেলে তিনি অটোরিকশাটি নিয়ে বের হন। রাতে গফরগাঁও বাজারে মাজার রোডে পৌঁছে এশার নামাজের আজান হলে পশু হাসপাতাল রোডে নিশাই সরকার মসজিদে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে এসে দেখেন অটোরিকশাটি চুরি হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক লাখ টাকায় অটোরিকশাটি কিনেছিলাম। মানুষের হাওলাদ টাকা পরিশোধ করছি। এই অটোরিকশা চালিয়েই সংসার চলত। অটোরিকশা না থাকায় আয়-উপার্জন বন্ধ হয়ে গেছে, সংসার কিভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।’
উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের পড়শীপাড়া গ্রামের আবু সাহিদের ছেলে জাকির হোসেন। ছয় সদস্যের পরিবার রয়েছে তার। তিনি দুই মেয়ের জনক। তাদের বয়স ৫ ও ২ বছর। তার জমি-জমা কিছু নেই। যেটুকু বাড়ি ভিটা রয়েছে সেটার মালিকও সাত ভাই। দিন এনে দিন খেতে হয় তার। কিন্তু অটোরিকশাটি হারিয়ে তার আয়ের একমাত্র পথটি বন্ধ হয়ে গেল।
পড়শীপাড়া এলাকায় গণমাধ্যমকর্মী মেহেদী হাসান বুলবুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘জাকির কাঁদছেন। পরে জানতে পারি অটোরিকশাটি চুরি হয়েছে। তিন দিনেও তার হদিস মেলেনি। এটি ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম।’
এ ঘটনায় গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বাচ্চু মিয়া জানান, বিষয়টি জানার পর থেকেই তদন্ত চলছে।