অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর আওতায় ২৪ ঘন্টায় রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৬৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলের নেতাকর্মী।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম।
অভিযানে রংপুরে একজন, কুড়িগ্রামে ১০ জন, লালমনিরহাটে ১১ জন, নীলফামারীতে সাতজন, গাইবান্ধায় ১২ জন, দিনাজপুরে ১৫ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে সাতজন ও পঞ্চগড় থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা সবাই কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতাকর্মী।
উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন— রংপুরের কাউনিয়ার কুর্শা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, গাইবান্ধা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুল হক রানা, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের দফতর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম (৩০), লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায় (৩৯) ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মালেক (৫২), নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সুজন মিয়া (২৭), পুটিমারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মোন্নাফ (৩১), দিনাজপুরের বিরলের শাহারাম ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ ওরফে সাঈদ আজম (৪১), তৈয়বপুর শান্তিনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি হাসিবুর রহমান শান্ত (২২), ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আলমগীর কবির (৩৭), হরিপুর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মোনাব্বর হোসেন (৪৭), পঞ্চগড় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম (৪৫), বোদা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম (৫৬)।
রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা, হত্যা চেষ্টা, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা বিভিন্ন মামলার আসামি। তারা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।



