সেবা প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় সহায়তায় সার্বক্ষণিক জুডিশিয়াল হেল্পলাইন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। জুডিশিয়াল হেল্পলাইন চালু করতে ইতোমধ্যে ইউএনডিপি ও সুইডেনের সাথে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বর্তমানে এ পরিষেবাটি সপ্তাহে রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলমান আছে।
প্রধান বিচারপতি ড: সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রাথমিকভাবে এ হেল্পলাইন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া।
রোববার (২০ জুলাই) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত ‘আইন প্রতিবেদকদের জন্য অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
ড. আজিজ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘হেল্পলাইনটি বর্তমানে দু’জন সহকারী রেজিস্ট্রার দ্বারা পরিচালিত হয় এবং কলকারীদের সরাসরি সহায়তা দেয়া হয়। গণমাধ্যম বিচার ব্যবস্থার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।’
বিচার বিভাগের বৃহত্তর সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং দক্ষতা জোরদার করার জন্য বিচার বিভাগীয় সংস্কারের জন্য একটি রূপরেখা ও কর্মপরিকল্পনা উন্মোচন করেন। সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট গত ২৭ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব জমা দেয়। যাতে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘পৃথক সচিবালয় বাস্তবায়ন করা হলে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় অধস্তন আদালতে বিচারকদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি ও শৃঙ্খলার মতো প্রশাসনিক বিষয়গুলির উপর একীভূত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করবে। যা বর্তমান দ্বৈত নিয়ন্ত্রণ দূর করবে। প্রস্তাবটি বর্তমানে মন্ত্রণালয় দ্বারা পর্যালোচনাধীন রয়েছে।’
সুপ্রিম কোর্ট ও জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সাথে অংশীদারিত্বে এবং সুইডেন দূতাবাসের সহায়তায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (এনআইএমসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এনআইএমসি মহাপরিচালক মুহাম্মদ হিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো: নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র রুল অব ল, জাস্টিস অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর রোমানা শোয়েগারও বক্তব্য রাখেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএমসি’র প্রশিক্ষণ পরিচালক মো: মারুফ নেওয়াজ।
প্রশিক্ষণ অধিবেশন পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: সাইফুল আলম চৌধুরী এবং এমআরডিআই’র সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা হেল্প ডেস্কের প্রধান বদরুদ্দোজা বাবু।