ঈশ্বরদী ইপিজেডের ১১৬ কর্মী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা

‘ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’

লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা

Location :

Lalpur
ঈশ্বরদী ইপিজেডের ১১৬ কর্মী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা
ঈশ্বরদী ইপিজেডের ১১৬ কর্মী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত, হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা |সংগৃহীত

নাটোরের লালপুরে ৫০ শয্যার হাসপাতালে ৭৪ জন ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত গত সাত দিনে (২৮মে-৩ জুন)ঈশ্বরদী ইপিজেডের ১১৬ জন কর্মী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে সর্বশেষ সাতজন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মোট ১১৬ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ৪০ জন রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তত দু’জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে গিয়ে চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একের পর এক ডায়রিয়া রোগী আসতে থাকে। গত দুই দিনে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের সবাই পাবনার ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠানের (ইপিজেড) শ্রমিক। এদিকে হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরকারি ওষুধ না থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগীরা।

আক্রান্ত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এলাকার ডেনিম ভিনটেজ (এ্যাবা), নাকানো ইন্টারন্যাশনাল বিডি এবং আরো কয়েকটি কারখানার কর্মীরা।

এ বিষয়ে এ্যাবা কারখানার শ্রমিক সিয়াম রেজা বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কাজের ফাঁকে ইপিজেড এলাকার সরবরাহ করা পানীয় পানি (সাপ্লাই) খেয়েছিলাম। এরপর থেকেই পেট ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়।’ নাকানো ইন্টারন্যাশনালে কর্মরত অভিষেক কুমারও একই অভিজ্ঞতার কথা জানান।

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: খোরশেদ আলম রানা বলেন, ‘শ্রমিকদের খাবার বা পানিতে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাদ্যজনিত বিষক্রিয়ার কারণেই তাদের ডায়রিয়া, বমি ও পেট ব্যথা দেখা দিয়েছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে ছুটি বাতিল করে অতিরিক্ত নার্স ওয়ার্ডে কাজ করছে।’

নাটোর সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মাদ মুক্তাদির আরেফীন এ বিষয়ে বলেন, ‘ইতিমধ্যে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সজাগ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।’