মুক্তাগাছায় পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

খামারীর ভাষ্যমতে ওই পুকুরে প্রায় ৩০০ মণ শিং মাছ ছিল যার প্রতি মণ মাছের বাজার মূল্য আট হাজার টাকা।

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা

Location :

Mymensingh
পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন।
পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন। |নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শিং মাছের একটি পুকুরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে পুকুরের শিং মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠেছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী দক্ষিণপাড়ার নূরুল মৎস খামারে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার সকালে খামারী মরহুম আহাম্মদ হাজীর ছেলে নূরুল ইসলাম খামারে গিয়ে দেখেন পুকুরের সব শিং মাছ মরে ভেসে উঠছে। পচা মাছের গন্ধ বাতাসে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।

সরেজিমনে জানা যায়, গোয়ারী দিক্ষণ পাড়ার নূরুল মৎস খামারে পাঁচ একর জায়গায় সাতটি পুকুর রয়েছে। খামারী নূরুল ইসলাম দীর্ঘ ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে পুকুরগুলোতে বিভিন্ন মাছ চাষ করে আসছেন। ৫২ শতাংশ বা আট কাঠার একটি পুকুরে শিং মাছ ছাড়েন। খামারীর ভাস্যমতে ওই পুকুরে প্রায় ৩০০ মণ শিং মাছ ছিল যার প্রতি মণ মাছের বাজার মূল্য আট হাজার টাকা দরে প্রায় ২৫ লাখ টাকার মতো তার ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে খামারী নূরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ওই পুকুরে প্রায় ৩০০ মণ মাছ ছিল। যার বাজার মূল্য ২৫ লাখ টাকা। মাছগুলো এখন বিক্রির উপযুক্ত হয়েছে। বিক্রির জন্য পাইকারদের দরদাম করা হচ্ছে। এমন সময় কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মুক্তাগাছা উপজেলা শাখা থেকে ৩০ লাখ টাকা লোন নিয়ে পুকুরে মাছ ছেড়েছি।’

খামারী নূরুল ইসলাম আহাজারী করে বলেন, ‘এখন ব্যাংক লোন কিভাবে পরিশোধ করব। হায় আল্লাহ! আমার এমন ক্ষতি কে করল?’

তিনি আরো বলেন, ‘ইতোপূর্বে কোনোদিন তার পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটেনি। আমার জানামতে কারো সাথে আমার শত্রুতাও নেই।’

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নূরুল ইসলাম একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ মাছের ব্যবসা করে আসছেন। যারা নূরুল ইসলামের এমন ক্ষতি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিও করেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানার এসআই মো: সেলিম মিয়া জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছি। ভোক্তভোগী অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Topics