সোনারগাঁওয়ে ছাত্রশিবিরের ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম

২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়নি। ৫ আগস্টের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, স্বাধীনতার পর কোনোদিন সে পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।

সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

Location :

Sonargaon
সোনারগাঁও সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম
সোনারগাঁও সরকারি কলেজে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম |নয়া দিগন্ত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ক্যারিয়ার গাইড লাইন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে কলেজটির আট শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সোনারগাঁও থানা শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ইসলামী ছাত্রশিবির সোনারগাঁও থানার সভাপতি আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নাজমুস সাকিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা) আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আব্দুল জব্বার। প্রধান মেহমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া। প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ জেলার সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল জব্বার বলেন, অনেক মেধাবীরা সময়ের মূল্য না দেয়ার কারণে পরবর্তীতে হারিয়ে গেছে। যারা আগামী দিনগুলোতে ভালো থাকতে চায় তারা অবশ্যই এই কলেজের দুই বছরকে মূল্যায়ণ করতে হবে। যারা এই সময়কে মূল্যায়ন করবে তাদের আগামীর দিনগুলো হবে সম্ভাবনাময়। মোবাইল ফোন আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে না আমরা ফোন নিয়ন্ত্রণ করব। ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল আমার জন্য কি করবে সেটা বিষয় নয়, আমি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হিসেবে ছাত্রশিবির বা ছাত্রদলের কাছে নিরাপদ কিনা সেটাই আসল বিষয়। যদি সেই নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হই তাহলে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা উচিত। একইভাবে যেই দলের কাছে দেশের মানুষ নিরাপদ থাকবে সেই দলকে দেশের মানুষ এবার নির্বাচিত করবে।

প্রধান মেহমান হিসেবে প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। ৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়নি। ৫ আগস্টের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, স্বাধীনতার পর কোনোদিন সে পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, আমরা শিক্ষার্থীদের উন্নত পড়ালেখার পাশাপাশি আল্লাহর পথে ডাকছি, আমরা শিক্ষার্থীদের জান্নাতের পথে ডাকছি। এটাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের ও ইসলামী ছাত্রীসংস্থার কাজ। আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (স:) প্রদর্শিত জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলেই কেবল ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা অর্জন সম্ভব।

অনুষ্ঠানে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী বলেন, একজন শিক্ষার্থীর ১ম, ২য় ও ৩য় কাজ হচ্ছে পড়াশোনা করা ও জ্ঞান অর্জন করা। গত পনের বছর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। ভারতের প্রেসক্রিপশনে যে শিক্ষা ব্যবস্থা হয়েছিল সে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। পড়ালেখা করা ছাড়াই ভালো রেজাল্ট করা যেত। যেটা শিক্ষার্থীদের মেধাশূন্য করে দেয়। ইসলামী ছাত্রশিবির একজন শিক্ষার্থীকে কিভাবে ভালো মেধাবী ও দক্ষ করে তোলা যায় সেই চিন্তা করে সবসময়, যেটা বাংলাদেশের অন্য কোনো সংগঠন করে না।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ফাতেমা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রিন্সিপাল ড. আজগর আলী, ইসলামী ছাত্রশিবির নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মোঃ আকরাম হোসাইন, সেক্রেটারি হাসিবুল ইসলাম সিফাত, ইসলামী ছাত্রীসংস্থা সোনারগাঁও থানার সভানেত্রী আছিয়া আক্তার, জামায়াতে ইসলামীর সোনারগাঁও উত্তরের আমির মাওলানা ইসহাক মিয়া, দক্ষিণের সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিশু শিল্পী রাশেদুল ইসলাম। আলোচনা শেষে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের ৮০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে উপহারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।

1 / 1
image