টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সবজির বাজারে লাফিয়ে বেড়েছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫-৩০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এতে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সোমবার (১১ আগস্ট) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধুন্দল, কচুর লতি, বরবটি, ঢেঁড়স, কাঁকরোল, বেগুন, ও ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলা, পটল, লাউ, ঝিঙ্গে ও চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। শাকপাতা প্রতি আঁটি ১০-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা।
কানপাড়া বাজারের সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে জমি থেকে সবজি তুলতে পারছেন না অনেক কৃষক। আবার অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই পাইকারি বাজার থেকেই দাম বেশি।’
এদিকে চালের বাজারেও তেমন স্বস্তি নেই। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ৭৫ টাকা। ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬২-৬৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে। পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা, রসুন ১৪০-২০০ টাকা, আদা ১৫০-১৭০ টাকা এবং আলু ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সোনালী মুরগি ৩০০-৩২০ টাকা। ডিম ১৩০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, কয়েকদিনের মধ্যেই সবজির দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় মাসের বাজার খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে সরবরাহ কম থাকায় খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়াতে হচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাহানা পারভীন লাবনী জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমেছে। আবহাওয়া অনুকূলে ফিরলে বাজার স্বাভাবিক হতে অন্তত এক থেকে দুই সপ্তাহ লাগবে।