মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিএনপির তিনটি ওয়ার্ড কমিটিতে ফ্যাসিস্টদের সুবিধাভোগী ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অর্ন্তভুক্ত করে কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠায় সেসব কমিটি বাতিল করেছিল মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি।
পাঁচদিনের মধ্যে ফ্যাসিস্টদের বাদ দিয়ে নতুনভাবে কমিটি গঠনের জন্য কুলাউড়া উপজেলা বিএনপিকে নির্দেশ দিলেও জেলা বিএনপির নির্দেশ পালন করেনি স্থানীয় বিএনপি। তারা পূর্বের বিতর্কিত পাঁচ ব্যক্তিকে পুনরায় কমিটির সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে নতুনভাবে একটি মনগড়া কমিটি গঠন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়ার্ডের বিএনপির দুর্দিনের কাণ্ডারী দুই শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দলের হাই কমান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ফ্যাসিস্টমুক্ত বরমচাল ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড কমিটি পুর্নগঠনের জন্য। তারা রোববার বিকেল ৩টার দিকে কুলাউড়ার একটি রেষ্টুরেন্ট সংবাদ সম্মেলন করেন বমরচাল ইউনিয়ন বিএনপির ৮নম্বর ওয়ার্ড কমিটির বঞ্চিত নেতাকর্মী।
সংবাদসম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত খান বলেন, ‘সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু ঘনিষ্টজন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামকে দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকারী বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ফখরুল ইসলামকে ইতিপূর্বে বিনা কাউন্সিল এবং গোপনে তাকে ৮নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি করা হয়।
এ খবরে ওয়ার্ডের শত শত বিএনপির নিবেদিত বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন এমনকি জেলা ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়কের নিকট আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি এক চিঠিতে কুলাউড়ার বরমচাল ইউনিয়নের ৮ ও ২ নম্বর এবং কাদিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটি বাতিল করে দেয় এবং পাঁচদিনের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেয় জেলা বিএনপি।
এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বরমচাল ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ড কমিটি আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টদের নিয়ে নিয়ে গঠন করা হয়। দিনের ভোট রাতে পুলিশ প্রহরায় করে ফেলেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাবেক ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু ঘনিষ্টজন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামকে দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকারী বিতর্কিত ও আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী ফখরুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়েছে এবং শফিক উদ্দিনকে সম্পাদক, সাহেদ মিয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আব্দুল লতিফ লাকিকে সদস্য, ময়নুল হক সোনাকে সদস্য হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাখায়ত খান।
সংবাদ সম্মেলনে বরমচাল ইউনিয়ন বিএনপির ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ, আমরুজ মিয়া, সোহাগ মিয়া, ময়ুব মিয়া,জয়নুল আবেদিন, উসমান আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করীম ময়ুনসহ আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং কুলাউড়ার মাটি ও মানুষের নেতা অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, শুওকতুল ইসলাম শকুসহ কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।