ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধার

সীমান্ত এলাকা দিয়ে বন্দুক ও গোলাবারুদ পাচার হবে এমন তথ্য পায় বিজিবি। এরই প্রেক্ষিতে ব্যাটালিয়ন সদর ও দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের ১৯ সদস্যের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে বিজিবি।
ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে বিজিবি। |নয়া দিগন্ত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচটি বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বিজিবি। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে এসব উদ্ধার করা হয়। বন্দুক ও গোলাবারুদ পাচারের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি বিজিবি।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বন্দুক ও গোলাবারুদ পাচার হবে এমন তথ্য পায় বিজিবি। এরই প্রেক্ষিতে কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হকের নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ন সদর ও দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের ১৯ সদস্যের বিশেষ টহলদল সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।

এ সময় সীমানা পিলার ৯৮৫-এর সাব পিলার তিনের কাছ দিয়ে কয়েকজনকে ভারত থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখা যায়। তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় টহলদল তাদেরকে আটকের চেষ্টা করে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাথে থাকা মালামাল ফেলে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।

বিজিবির টহলদল ঘটনাস্থল তল্লাশি করে পাঁচটি ভারতীয় এনএক্স-২০০ এথেনা বন্দুক, একটি ভারতীয় পিস্টন এ্যাসেম্বলি ও ৩৩ হাজার ১০০ পিস ভারতীয় সিসা গুলি উদ্ধার করে। এছাড়া একটি হিরো ইগনেটর ১২৫ সিসব মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। উদ্ধার বন্দুক, গোলাবারুদ ও মোটরসাইকেলের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা।

কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন ২২ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক পিএসসি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের বন্দুক ও গোলাবারুদ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবার ও অস্ত্র পাচার রোধে বিজিবি তৎপর রয়েছে। সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।