ঈশ্বরগঞ্জে সিএনজি-পিকাপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত

‘বাড়িতে মায়ের অসুস্থতার খবর জানতে পেরে শুক্রবার সকালে কর্মস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে তিনি স্ত্রী ও তার মেয়ের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন।’

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা

Location :

Ishwarganj
সিএনজি-পিকাপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়
সিএনজি-পিকাপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় |ছবি : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সিএনজি ও পিকাপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি আরোহী মো: এবাদুল হক (৫৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। আর তার স্ত্রী সাজেদা খাতুন (৫০) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) গাজীপুর ও হোসেনপুর সড়কে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বেপারীপাড়া সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত এবাদুলের চাচাতো ভাই ফারুক মন্ডল। এ ঘটনায় নিহত এবাদুল-সাজেদার পাঁচ বছর বয়সী নাতি নাঈম, সিএনজি চালক বাদল মিয়াসহ (৩২) তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের ওয়াহেদ আলী মন্ডলের ছেলে মো: এবাদুল হক ভালুকার হবিরবাড়ি এলাকায় একটি কটন মিলে চাকরির সুবাধে সেখানেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। বাড়িতে মায়ের অসুস্থতার খবর জানতে পেরে শুক্রবার সকালে কর্মস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে তিনি স্ত্রী ও তার মেয়ের শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথে বাড়ির খুব কাছাকাছি আসতেই উচাখিলা মধুপুর সড়ক হরিপুর বেপারীপাড়া সংলগ্ন বিপরীত দিক থেকে আসা গরু বহনকারী একটি পিকআপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় সিএনজি। এ সময় ভেতরে থাকা এবাদুলের নাতি রিফাত ও চালক বাদল মিয়াসহ তিনজন আহত হন। আহত তিনজনের অবস্থান শঙ্কাটাপন্ন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ওবায়দুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পিকআপভ্যান ও সিএনজিটিকে জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত এবাদুলের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।