ফরিদপুরের সালথায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোহেল নামে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাপ গ্রামে বসতঘরের আড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইতি সিংহপ্রতাপ গ্রামের দিনমজুর মো: সিদ্দিক বিশ্বাসের একমাত্র মেয়ে। সে স্থানীয় সাড়ুকদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো।
সালথা থানা পুলিশ জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে পাশের ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মো: নিজাম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২২)। ইতির মা প্রবাসে থাকে আর তার বাবা ও ভাই জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দিনমুজুরের কাজ করেন। বাড়িতে একা থাকার সুযোগে গত ১৪ মার্চ ইতিকে ধর্ষণ করে বখাটে সোহেল।
এ ঘটনার পরে ইতির বাবা সিদ্দিক বিশ্বাস বাদী হয়ে গত ১৭ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ২০ এপ্রিল রাতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশে হস্তান্তর করে। এ মামলায় সোহেল কারাগারে রয়েছে।
ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, আসামি সোহেল গ্রেফতার হওয়ার পরে উভয় পরিবার ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করেন। তবে ইতির সাথে সোহেলের বিয়ে দিতে রাজি হয়নি ওই পরিবার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল কিশোরী।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আতাউর রহমান বলেন, ‘ইতির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ইতির পরিবার আসামি সোহেলের সাথে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে সোহেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে।’