কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে থানার সামনে সালিশী দরবারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মজনু মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ মীমাংসায় শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে থানার সামনে ওই সালিশ ডেকেছিল করিমগঞ্জ থানার পুলিশ।
পুলিশের সামনেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মজনু মিয়া উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল ক্ষিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি একজন মুদি দোকানি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়া ও ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দেনদরবার হয়। সম্প্রতি ইসলাম উদ্দিনের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করলে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম এলাকার গণ্যমানদের নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন।
শুক্রবার বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চা-স্টলে উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ দরবার বসে। সালিশ চলাকালে থানার সামনে ওই চা-স্টলে দুইপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মজনু মিয়াকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।