সৌদির আল-কাসিম মরুভূমিতে মিললো শিবচরের সবুজের লাশ

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী সবুজের গলিত লাশ দুই সপ্তাহ পর আল-কাসিম মরভূমির জনশূন্য এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে সৌদি পুলিশ।

শিবচর (মাদারীপুর) সংবাদদাতা

Location :

Shibchar
দুই সপ্তাহ পর সৌদির আল-কাসিম মরুভূমিতে মিললো সবুজের গলিত লাশ
দুই সপ্তাহ পর সৌদির আল-কাসিম মরুভূমিতে মিললো সবুজের গলিত লাশ |নয়া দিগন্ত

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী সবুজের গলিত লাশ দুই সপ্তাহ পর আল-কাসিম মরভূমির জনশূন্য এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে সৌদি পুলিশ। সবুজের গায়ের জামা দেখে লাশটি শনাক্ত করেছে সৌদিতে বসবাসরত সবুজের স্বজনেরা।

মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাদিরপুরের ভ্যানচালক আব্দুল জলিল মাদবরের একমাত্র ছেলে। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে ঋণ করে সবুজ সৌদিতে পাড়ি জমিয়েছিলো।কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রবাস জীবনে বছর যেতে না যেতে দুই সপ্তাহ যাবৎ তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সৌদি আরবের আল-কাসিম মরুভূমিতে পাথর চাপা দেয়া অবস্থায় সবুজের লাশ উদ্ধার করেছে সৌদি পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত সবুজ মাদবর সৌদির রিয়াল স্টেটের কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কর্মরত ছিলো। গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে নিহতের বাবা আ: জলিল মাদবরের সাথে ফোনে শেষবারের মতো কথা হয়। এ সময় তিনি বাড়িতে ১০-১৫ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলে ছিলো। এরপর ১ অক্টোবর টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলো। কিন্তু টাকা না পেয়ে সবুজকে ফোন দেন নিহত সবুজের বাবা। তবে ফোন বন্ধ থাকায় সবুজের সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে আল-কাসিম মরুভূমি এলাকায় থাকতো সবুজ। ওই এলাকার পাশের এক মরুভূমির নির্জন এলাকায় পাথর চাপারত লাশটি খুঁজে পায় সৌদি পুলিশ।

পরিবারের দাবি, এই অসহায় পরিবারটির পক্ষে খরচ বহন করে নিহত সবুজের লাশ দেশে আনা সম্ভব নয়। তাই সরকারের নিকটে তাদের দাবি লাশটি যেন সরকারি খরচে দ্রুত দেশে আনা হয় এবং প্রকৃত রহস্য-উদঘাটন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এইচ এম ইবনে মিজান বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে এখনো জানানো হয়নি। তবে বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিবচর উপজেলা প্রশাসন সবসময় অসহায় পরিবারটির পাশে থাকবে।‘