গত ১২ জুন সকাল ৭টায় পাশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার সিংগুর গ্রামে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় স্কুলছাত্রী নাফিসা জান্নাত আনজুম (১৫)। এর দুই দিন পর ১৪ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ির পাশে একটি নালায় তার লাশ পাওয়া যায়।
আজ সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, আলামত উদ্ধারের জায়গা এবং নারীঘটিত কিছু বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ করে পাশের বাড়ির জাইর মিয়ার ছেলে জুনেল মিয়াকে (৩৯) আটক করে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ঘাতক জুনেল।
ঘাতক জুনেল পুলিশকে জানায়, আনজুম তার বাড়ির সামনের একটি রাস্তা দিয়ে প্রায়ই স্কুল ও প্রাইভেটে আসা যাওয়া করত। সেই সুবাদে জুনেল তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে। ঘটনার দিন গত ১২ জুন আনজুমান পাশের গ্রামে প্রাইভেট পড়া শেষে রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলো। ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কথা বলতে বলতে জুনেল আনজুমানের পিছু নেয়।
সে এড়িয়ে যেতে চাইলে জুনেল পিছন থেকে আনজুমানকে জড়িয়ে ধরে। তখন আনজুমান চিৎকার করলে ঘাতক জুনেল তার হাত দিয়ে গলায় চাপ দিয়ে ধরে। একপর্যায় আনজুমান অচেতন হয়ে পড়লে ওই এলাকার কিরিম শাহ মাজার সংলগ্ন জঙ্গলঘেরা নালায় ফেলে রেখে চলে যায়। দুদিন পর ১৪ জুন ওই স্থান থেকে আনজুমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
উত্তর পাশে জনৈক রওশন আলীদের পারিবারিক কবরস্থানের সীমানা বাউন্ডারির পাশে ঘাতক আলামত ছুড়ে ফেলে দেয়। পুলিশ আসামির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাতে স্থানীয় লোকজন এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতে ভিকটিমের সেই বোরখা উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম আপছার, কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য।