কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘক্ষণ যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উভয়পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় মহাসড়কে আটকে পড়া বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। জ্বালিয়ে দেয়া হয় একটি মোটরসাইকেল।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে জেলার পৌর এলাকার কালিরবাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পাল্টাপাল্টি হামলায় মহাসড়কের দুইপাশের অন্তত ১০ থেকে ১২টি দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত হয় অন্তত আট থেকে ১০ জন। আহতদের মধ্যে রামচন্দ্রপুরের বদিউল আলমের ছেলে অনিক এবং গোমারবাড়ীর আবুল কাশেমের ছেলে রায়হানের নাম পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে কালিরবাজার হোসাইনিয়া মাদরাসায় ওয়াজ মাহফিলে পাঁচরা ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের কয়েকজন কিশোরের মধ্যে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যায় উভয়গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে করে উভয়পক্ষের অন্তত আট থেকে ১০ জন আহত হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ বাজারের ১০ থেকে ১২টি দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে মহাসড়কের অন্তত দুই কিলোমিটার অংশে যানজট সৃষ্টি হয়। এ সময় মহাসড়কের পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কালিরবাজার এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন জানান, রোববার রাতে কালিকাবাজারের একটি ওয়াজ মাহফিলে পাঁচরা ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের ছেলেদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এর জেরে সোমবার সন্ধ্যার পরে উভয়গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তারা তার দোকানসহ বাজারের ১০ থেকে ১২টি দোকানে হামলাও ভাংচুর চালায়। হামলাকারীরা তার দোকানে থাকা কয়েক লাখ নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়।
রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান বলেন, ‘মাগরিবের একটু আগে আমার দোকানসহ একাধিক দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুর চালায়।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কালিরবাজার এলাকায় দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা শুনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ সময় কিছুক্ষনের জন্য বন্ধ থাকা মহাসড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’



