‘আমরা জাতির বোঝা হতে চাই না। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে উঠতে চাই। বর্তমানে চাকরির বাজার খুবই মঙ্গা। তাই আমরা সুশিক্ষায় কারিগরি জ্ঞান অর্জন করে দেশের মাঝে অবদান রাখতে চাই বলে জানান জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে আট দফা দাবিতে জামালপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গণ স্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ডেকে ডেকে খবর দে, সিন্ডিকেটের কবর দে’, ‘বুটেক্স এর কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘শিক্ষার নামে প্রহসন, চলবে না চলবে না‘, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবিগুলো হলো- শিক্ষক সঙ্কট স্থায়ীভাবে সমাধান, ল্যাবের জন্য লোকবল নিয়োগ, ক্যাম্পাসে বরাদ্দ বৃদ্ধি, তিন মাসের মধ্যে মার্কশিটসহ রেজাল্ট প্রদান, সেমিস্টার ও রিটেক ফি কমানো, ছয় মাসের মধ্যে প্রতিটি সেমিস্টার সম্পন্ন করা ও ইম্প্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা আট দফা দাবিতে কলেজের প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। আমাদের ৮ দফা দাবি যে পর্যন্ত মানা না হবে সেই পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এখানে সবকিছুর আধুনিক সুবিধা থাকলেও জনবল সঙ্কট রয়েছে। জনবল না থাকায় ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও মেশিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে কলেজের চলমান কমপ্লিট শাটডাউন অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা। প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এদিকে আজ চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।