বগুড়ার শেরপুরে করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙছে তীরবর্তী আবাদি জমি। ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে একাধিক কৃষকের জমি। হুমকির মুখে রয়েছে এতিমখানা মাদরাসা ও কবরস্থান। নদীটির তীর রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় যেন ভোগান্তির শেষ নেই স্থানীয়দের।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালা নামক স্থানে করতোয়া নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে বিনোদপুর গ্রামের আলাউদ্দিন, সায়েদ আলী, ঈমান আলী ও মওলাবক্সসহ বেশ কয়েকজনের আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, সারা বছর নদীতে পানি না থাকলেও বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি এসে প্রবল স্রোত দেখা দেয়। এছাড়া এ জায়গায় নদীর বাঁক থাকায় পানি এসে সরাসরি পাড়ে আঘাত হানে। ফলে দ্রুত ভেঙে যাচ্ছে পাড়।
এদিকে করতোয়া নদীটি সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর মোহনা নামক স্থানে বাঙালি নদীর সাথে একীভূত হয়েছে। এবার বাঙালি নদী খনন করায় গভীরতা বৃদ্ধি পেয়ে তীব্রতা পেয়েছে করতোয়া নদীর স্রোতের। যার কারণে নদীটিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ভাঙন।
বিনোদপুর গ্রামের কৃষক ঈমান আলী বলেন, ‘আমি কৃষি কাজ করেই চলি। ইতোমধ্যে আমার প্রায় এক বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে করতোয়া নদীর তীর রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি ছায়েদ আলী বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে এতিমখানা ও মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবছর নদী ভাঙতে ভাঙতে এখন মাদরাসা ভবনের কাছাকাছি এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে মাদরাসা ও এতিমখানাটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। এছাড়া বেশ কয়েকটি গ্রামের একমাত্র কবরস্থানটিও নদীর কাছাকাছি হয়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে।’
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাশিয়াবালার কবরস্থান এলাকায় প্রতিবছরই নদী ভাঙন দেখা দেয়। এবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন তীর রক্ষায় ব্যবস্থা নেবেন।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আশিক খান বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে করতোয়া নদীর তীর রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’