রাজশাহীতে ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য ফ্রিজিয়ান জাতের ১৫ মণ ওজনের ষাঁড় বাহাদুরকে প্রস্তুত করেছেন দুর্গাপুর উপজেলার দেবীপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম। যার দাম হাঁকা হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা। ষাঁড়টির উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট ও প্রস্থ প্রায় ৩ ফুট বলে জানান ওই বিক্রেতা।
শাহ আলম জানান, ‘সবুজ ঘাস, দানাদার খাবার, কমলা, মালটা, ভুট্টা, ছোলা, চালের গুড়াসহ প্রতিদিন প্রায় সাতশত টাকার খাবার দিতে হয় তাকে। বিশেষভাবে যত্ন নিয়ে পালন করেছি। এলাকায় তাক লাগানো এই ষাঁড়টি দেখতে এখন প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন নানান এলাকার মানুষ।’
শনিবার (২৪ মে) উপজেলার বেলঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা এ কে এম আজাদ বাহাদুরকে দেখতে এসে বলেন, ‘এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ষাঁড় ‘বাহাদুর’। এ ষাঁড়টি পালন করা হয়েছে বাড়ির ভেতরে পাকা রুমে। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস রাতের বেলা লাইট ও ফ্যান দেয়া হয়েছে। শাহ আলমের পরিবার এটির দেখাশোনা করছেন।’
খামারি শাহ আলম বলেন, ‘প্রতিদিন গোসল করানো থেকে শুরু করে খাবার খাওয়ানো সবকিছু নিয়ম অনযায়ী করানো হয়। বাড়িতে পালন করা ফ্রিজিয়ান গাভি থেকে বাহাদুরের জন্ম। প্রায় তিন বছর থেকে লালন পালন করছেন তিনি। ষাঁড়টি এখন চারদাঁতি। এবার কোরবানির হাটে আশানুরূপ দামে বিক্রি করতে চান ‘বাহাদুর’।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোছা: জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বছর দুর্গাপুরে হাটগুলোতে রোগে আক্রান্ত গরু বিক্রি না করার জন্য ভেটেনারি টিম বসানো হয়েছে। আমাদের অফিস থেকে খামারিরা পরামর্শ নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করেছে এসব গরু। তাই ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল বা অন্য কোনো উপায়ে মোটাতাজাকরণ গরু বিক্রি করার সুযোগ নেই। তবে এ বছর হাটে ভারতীয় গরু না উঠলে দেশীয় গরুর ন্যায্য দাম পাবেন বলে আশাবাদী খামারিরা।’