মুন্সীগঞ্জ শহরের পূর্ব দেওভোগ এলাকায় এক নারীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রতন মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে শহরের ভিটি শিল মন্দির এলাকার তপন কমিশনারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সকালে হাঁটতে বের হয়ে আয়শা ছিদ্দিক বাধন (২৯) ও তার বড় বোন লাবনী (৩৬) ওই স্থানে পৌঁছালে পূর্ব দেওভোগ এলাকার বাসিন্দা রতন মন্ডল (৪০) পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের পথরোধ করেন। এ সময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, একপর্যায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি বাধনের চুলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়া করে জোরপূর্বক একটি মিশুক গাড়িতে তুলে অপহরণের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে লাবনীকে চর-থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারা হয়। পরে হাতে থাকা ধারালো চাকু দেখিয়ে হত্যার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাধনের গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া হয়।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ২০১২ সালে অভিযুক্ত রতন মন্ডলের সাথে আয়শা ছিদ্দিক বাধনের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ২০১৪ সালে কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক দেন বাধন। তালাকের পর থেকে বিভিন্ন সময় বাধন ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন রতন মন্ডল। ২০১৫ সালে বাধনের মা ছালমার ওপর হামলার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা হয়, মামলা নম্বর ৭৫। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা ও অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে আপস-মীমাংসা হয়।
এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনাতেও রতন মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রতন মন্ডলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



