নরসিংদীতে হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি গ্রেফতার, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

নরসিংদীর সিনিয়র এএসপি জুয়েল জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামি ও উদ্ধার করা মালামাল আইনিব্যবস্থার জন্য জেলা নরসীংদী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রায়পুরা (নরসিংদী) সংবাদদাতা
গ্রেফতার আসামি সোহেল মিয়া
গ্রেফতার আসামি সোহেল মিয়া |নয়া দিগন্ত

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চলের শ্রীনগর সায়েদাবাদ এলাকার তিনটি হত্যাসহ ১১ মামলার আসামি সোহেল মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে যৌথবাহিনী অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সরেজমিনে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার ভোরে শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ ও বালুচর গ্রামের হানিফ মাস্টার গ্রুপ এবং এরশাদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একই এলাকার আক্তার মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় আরো ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা নরসিংদী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৬ ইষ্ট বেঙ্গল-এর নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের পেট্রোল কমান্ডার ও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে মেজর ইব্রাহিম ও তার দলের সাহসিকতায় একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি মো: সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় অভিযানে গ্রেফতার মো: সোহেলের স্বীকারোক্তি মতে তার হেফাজতে থাকা একটি সিঙ্গেল ব্যারেল দেশীয় বন্দুক, চারটি দেশীয় তৈরি একনলা বন্দুক, দু’টি ম্যাগাজিন (সিলভার রঙের; একটিতে N-7110, অন্যটিতে N-011 লেখা), ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, চার রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১২টি ১২ বোর শটগানের লেড কার্টিজ, একটি মোটরসাইকেল ও তিনটি মোবাইল ফোন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

যৌথবাহিনীর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই তারিখে মো: সোহেল মিয়া এরশাদ গ্রুপের হয়ে শ্রীনগর সায়দাবাদ বাজারে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল এবং আগে মো: সোহেলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি হত্যা এবং দু’টি অস্ত্র আইনের মামলা রয়েছে।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর-৫৬ ইস্ট বেঙ্গল-এর মেজর ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৪৪ জন জোয়ান, পুলিশ সুপার নরসিংদী মো: হান্নানের নির্দেশনায় সিনিয়র এএসপি, রায়পুরা সার্কেল-এর নেতৃত্বে ৬০ জন পুলিশ, সিনিয়র এএসপি জুয়েল, নরসিংদী ক্যাম্প, র‌্যাব-১১-এর নেতৃত্বে ২৭ জন চৌকস সদস্য ও মো: মাসুদুর রহমান রুবেল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রায়পুরা উপজেলা, নরসিংদী।

নরসিংদীর সিনিয়র এএসপি জুয়েল জানান, গ্রেফতার হওয়া আসামি ও উদ্ধার করা মালামাল আইনিব্যবস্থার জন্য জেলা নরসীংদী জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।