এম জে এইচ জামিল, ব্যুরো
সিলেট নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার যত্রতত্র পার্কিং বন্ধে ৩০টি স্থানে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। কোন স্ট্যান্ডে কতটি গাড়ি রাখা যাবে সেটিও বলে দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ আইন অমান্য কিংবা অবৈধ পার্কিং করলে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এ কথা জানায়।
এসএমপির মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনুমোদিত ৩০টি স্ট্যান্ড ব্যতীত অন্য কোথাও পার্কিং করা যাবে না। আদেশ অমান্য করলে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুমোদিত স্ট্যান্ড
১. আম্বরখানা স্ট্যান্ডে মোট ১৫টি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে সুনামগঞ্জমুখী ৫টি, এয়ারপোর্টমুখী ৫টি, চৌহাট্টামুখী ৫টি।
২. টিলাগড় পয়েন্টেও ১৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে বালুচরমুখী ৫টি, তামাবিলমুখী ৫টি ও শিবগঞ্জমুখী ৫টি।
৩. মদিনা মার্কেট পয়েন্ট এলাকায় সর্বোচ্চ ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৪. পাঠানটুলা এলাকায় ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৫. বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় ১৫টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৬. তেমুখী পয়েন্ট এলাকায় মোট ১০টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে বাদাঘাটমুখী ৫টি ও টুকেরবাজারমুখী ৫টি।
৭. টুকের বাজার পয়েন্ট এলাকায় ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে লামাকাজিমুখী ৫টি ও তেমুখীগামী ৫টি।
৮. ভার্থখলা কিন ব্রিজ এলাকায় মোট ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
৯. বাবনা পয়েন্ট এলাকায় মোট ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১০. কদমতলী মুক্তিযোদ্ধা পয়েন্ট এলাকায় মোট ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১১. হুমায়ুন রশিদ চত্বর এলাকায় মোট ২০টি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে ফুলকলির সামনে ৫টি, ফেঞ্চুগঞ্জগামী রোডের পাশে ৫টি ও আপন হোটেলের পাশে ১০টি।
১২. সামাদ চত্বরে মোট ১০টি, ১৩. শেখঘাট জিতু মিয়ার পয়েন্টে ৫টি, ১৪. রিকাবিবাজার পয়েন্টে ৫টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১৫. শাহপরান মাজার গেট এলাকায় মোট ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে মেজরটিলামুখী ৫টি ও সুরমাগেট বাইপাসমুখী ৫টি।
১৬. মেজরটিলা ইসলামপুর বাজার এলাকায় মোট ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে টিলাগড়মুখী ৫টি ও শাহপরান মাজার গেটমুখী ৫টি সিএনজি অটোরিকশা রাখা যাবে।
১৭. বালুচর পয়েন্ট (এমসি কলেজ ছাত্রাবাস-সংলগ্ন) ১০টি, ১৮. উত্তর কুশিঘাটে ১০টি, ১৯. ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেটে ৫টি, ২০. ধোপাদিঘির পাড় (এমএজি ওসমানী শিশু পার্ক) পয়েন্ট এলাকা ৫টি, ২১. কাজীটুলা বাজারে ৫টি, ২২. জেলরোড পয়েন্টে ৫টি, ২৩. শাহী ঈদগাহ পয়েন্টে ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
২৪. কদমতলী ওভারব্রিজ এলাকায় মোট ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে। এর মধ্যে গোলাপগঞ্জগামী ৫টি ও বটেশ্বর গামী ৫টি।
২৫. ভার্থখলা পয়েন্টে ১০টি, ২৬. চণ্ডিপুলে ১০টি, ২৭. শ্রীরামপুরে ১০টি, ২৮. জালালাবাদ গ্যাস অফিস-সংলগ্ন মেন্দিবাগে ৫টি, ২৯. সিসিক ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মকন দোকান বাজারে ১০টি এবং ৩০. শিববাড়ী বাজারে ১০টি অটোরিকশা রাখা যাবে।
এসএমপি সূত্র জানিয়েছে, শহরে যানজট নিরসন ও নগরবাসীর ভোগান্তি কমাতে এই স্ট্যান্ডগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়ম না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিংয়ের জন্য নগরীর ৩০টি স্থানে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করে দিয়েছিল সিলেট সিটি করপোরেশন। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকদের কঠোর অবস্থান ও পুলিশের অসহযোগিতার কারণে সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন সিটি করপোরেশনের তৎকালিন প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান।
নগরবাসীর প্রত্যাশা, এবার যেহেতু প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্ট্যান্ড নির্ধারণ করা হয়েছে সেহেতু কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থায়ীভাবে এটি কার্যকর রাখতে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান সচেতন নাগরিকরা।