চাঁদা না দেয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র গাড়ির স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রায় অর্ধশত লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র গাড়ি স্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে সেখানে যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর করে।
মাহেন্দ্রচালক লাভলু বলেন, ‘হাজরাতলা মোড় থেকে সালথাগামী একজন মাহেন্দ্রচালক নিয়ম ভঙ্গ করে যাত্রী তুলতে গেলে তাকে লাইনম্যান বাধা দেয়। এনিয়ে তাদের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। এর কিছুক্ষণ পরে যুবদলের নেতা মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে হামলা চালানো হয়। লিমনের সহযোগী সোহেল, শাহিন, মিন্টুর নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে অপেক্ষমাণ সবগুলো মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হন। পরে তাদের ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।‘
ফরিদপুর মাহেন্দ্রচালক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী বাবু মোল্লা অভিযোগ করেন, ‘৫ আগস্টের পর ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নেতৃত্বে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায় করছিল। গাড়ির ট্রিপ প্রতি ৫০ টাকা চাঁদা তুলছিল তারা। তবে গত পনেরো দিন ধরে তারা লিমনকে ওই চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা যাত্রী উঠানো নিয়ে তর্কাতর্কির অজুহাতে হামলা চালায়।‘
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন বলেন, ‘তিনি এ হামলার ঘটনার সাথে বিন্দুমাত্র জড়িত নন। বিষয়টি জানতেনও না তিনি। তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি মহল তার নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে। এছাড়া মাহেন্দ্র গাড়ি স্ট্যান্ড থেকে কখনোই কোনো চাঁদা উত্তোলনের সাথে জড়িত নই।
স্থানীয়রা জানায়, ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে পুলিশ বক্সের পাশে অবস্থিত স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম নাসিরের অফিস ঘরের দখল নেন জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন। সেখানে তিনি বড় ব্যানারে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসহ স্থানীয় বিএনপি নেতা ও তার ছবিসহ ব্যানার টানিয়ে রাজনৈতিক কার্যালয় চালু করেন। আগামী পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সেখান থেকে নানাবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন তিনি।