কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিখোঁজের পরদিন শাখাওয়াত হোসেন ছোটন (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার একটি মৎস্য প্রজেক্টের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশু ছোটন উপজেলার পেড়িয়া ইউনিয়নের কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের হানিফের ছেলে।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। যে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেটির পানির গভীরতা মাত্র তিন ফুট হওয়ায় মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিশুটির চাচা মীর হোসেন।
মীর হোসেন বলেন, বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর থেকে ছোটনকে খুঁজে না পেয়ে তার খেলাধুলার সাথীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় যে দুপুর ৩টার দিকে একই গ্রামের মাহবুবুল হকের ছেলে সাইফুলের (১৬) সাথে ছোটন শ্রীফলিয়া বাজারের দিকে যায়। এ নিয়ে সাইফুলকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে জানায়, ছোটন একই গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মাদরাসা পর্যন্ত যাওয়ার পর তার সাথে আর যায়নি। পরে ওইদিন বিকেল ৫টার পর থেকে তাকে বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় রাত ৮টার পর এলাকার সর্বত্র মাইকিং করা হয়। রাতে নিখোঁজ ছোটনের বাড়িতে গ্রামবাসীসহ সাইফুলের পরিবারের অন্য লোকজন এলেও সাইফুল আসেনি।
মীর হোসেন আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সাইফুল জানায় য়ে ছোটনের লাশ কাজী জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মাওলানা সাইফুল ইসলামের মৎস্য প্রজেক্টের পুকুরে ভাসতে দেখেছে। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ছোটনের লাশ সনাক্ত করে। একপর্যায়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ছোটনের চাচা দাবি করেন, ‘আমার ভাতিজার শরীরের পশ্চাদ্দেশে লাল আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তার পরনের প্যান্ট অর্ধেক খোলা রয়েছে এবং শরীরের কোনো কাপড় ছিল না। যে মৎস্য প্রজেক্টের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সে মৎস্য প্রজেক্টে মাত্র তিন ফুট পানির গভীরতা রয়েছে। তিন ফুট পানির গভীরতায় সে কিভাবে মারা যায়?’
নাঙ্গলকোট থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুভ বলেন, ‘ছেলের বাবা এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।’