নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত কর্ডলাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বিভাগ। চারটি সম্ভাব্য রুট নির্ধারণ করে চলছে ফিজিবিলিটি স্টাডি ও সার্ভের কাজ। বর্তমানে চলছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাথমিক সার্ভে। এ নিয়ে সার্ভেকারীদের সাথে এলাকাবাসীর বচসার ঘটনা ঘটছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২৪ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত দেউলী চৌরাপাড়া এলাকাটি একটি ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। এখানে কলকারখানাসহ হাজারো পাকা- আধা পাকা স্থাপনা রয়েছে। তাই চৌরাপাড়া এলাকায় কর্ডলাইন নির্মাণ করা হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হবেন বাসিন্দারা। ক্ষতি এড়াতে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ দিয়ে কর্ডলাইন নির্মাণের দাবি জানায় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে বুধবার বিকেলে বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় এনরেক কনসালটেন্ট লিমিটেড আয়োজনে ‘আর্থ সামাজিক প্রভাব নিরূপন ও সুরক্ষা মূল্যায়ণ বিষয়ক মতবিনিয়ময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রহিমা আক্তার ইতি, এনরেক কর্মকর্তা রিনা খানম, রেল কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, ডিজাইন ও সার্ভে ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, বন্দর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদ, সাংবাদিক লতিফ রানা, মো: জামান, ভূমি অধিগ্রহণ পরামর্শক কর্মকর্তা মিজানূর রহমান তালুকদার, জরিপ কর্মকর্তা মীর ফারুক হোসেন, মহিবুল ইসলাম প্রমুখ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপনের জন্য সার্ভে চলছে। চৌরাপাড়া দিয়ে নারায়ণগঞ্জ লাকসাম কর্ডলাইন হবে কিনা এখানো বলা যাচ্ছে না। তবে অন্য জায়গাও সার্ভে কার্যক্রম চলছে।