কুমিল্লায় বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট

তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে গরু উদ্ধার ও ডাকাত দলের গ্রেফতার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

Location :

Laksam
বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট
বন্দুক ঠেকিয়ে এতিমখানার ১২ গরু লুট |নয়া দিগন্ত

কুমিল্লা প্রতিনিধি ও লাকসাম সংবাদদাতা

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার গরুর খামারে ৩ মাসে দুইবার অস্ত্র ঠেকিয়ে গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। দুই দফায় ২৫ লাখ টাকার ১২টি গাভী নিয়ে যায় ডাকাত দল। ঘটনায় থানায় মামলা করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ঘটনায় শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও ছাত্রসহ আটজনকে আহত করেছে ডাকা দল।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এ খামারের আয় দিয়ে চলতো প্রতিষ্ঠানটি। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে গেছে। খামারের একপাশ খালি পড়ে আছে, সেখানে বর্তমানে ১১টি গরু আছে। খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের আনা তুষের বস্তা। যেগুলোর মাধ্যমে গরু ভ্যানে ওঠানো হয়।

এদিকে তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফলে গরু উদ্ধার ও ডাকাত দলের গ্রেফতার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদি মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, ‘গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ গাড়ি নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। এ সময় শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইলফোনগুলো ডাকাতদের কাছে নিয়ে যায়। এরপর তারা মাদরাসার পাশের গরুর খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।’

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, ‘এ গরু খামারের আয়ের অর্থ দিয়ে মাদরাসা পরিচালনা করা হয়। এছাড়া এ মাদরাসার খামারে গত তিন মাস আগে ৭টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।’

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজনীন সুলতানা জানান, লুট হওয়া গরু উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মাদরাসা শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদি হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা করেছেন।